নভজ্যোত সিং সিধুকে পাঞ্জাব প্রদেশ সভাপতি করেও শান্তি নেই কংগ্রেসের। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু কিছুতেই পাঞ্জাব কংগ্রেসে বিদ্রোহ কমার লক্ষণ নেই। শুক্রবার ফের বিস্ফোরণ করেছেন সিধু। হুঙ্কার ছেড়েছেন হাইকম্য়ান্ডের উদ্দেশে, প্রদেশ সভাপতি হিসাবে তাঁকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা দেওয়া হোক। নাহলে পরিণাম খুব খারাপ হবে। যার জেরে কংগ্রেসে অস্বস্তি দ্বিগুণ হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এদিনই সিধুর ব্যক্তিগত উপদেষ্টা মালবিন্দর সিং মালি পদত্যাগ করেন। কাশ্মীরে অনুচ্ছেদ ৩৭০ এবং ইন্দিরা গান্ধির একটি ছবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে হাইকম্যান্ডের রোষের মুখে পড়েন মালবিন্দর। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট প্রত্যাহার করতে না চাওয়ায় পাঞ্জাব কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক হরিশ রাওয়াত সিধুকে পরামর্শ দেন, মালিকে তাড়ানোর জন্য।
রাওয়াত সিধুকে হুঁশিয়ারি দেন, মালিকে না তাড়ালে তিনি নিজেই সেই কাজ করবেন। মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংও মালিকে পরামর্শ দেন, তিনি যেন সিধুকে গাইড করেন সোশ্যাল মিডিয়ায় জাতীয় স্বার্থের ইস্যু নিয়ে কথা বলার বদলে। ক্যাপ্টেন সিধুকেও মালি নিয়ে কঠোর হওয়ার পরামর্শ দেন। এদিন মালির ইস্তফার কয়েক ঘণ্টা পরেই সিধু গর্জে ওঠেন।
আরও পড়ুন ছত্তিশগড়ে বিবাদ মেটাতে ফের বাঘেল-রাহুল বৈঠক! মুখ্যমন্ত্রিত্ব চেয়ে ‘বিদ্রোহ’ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
সিধুর মন্তব্য নিয়ে রাওয়াতের প্রতিক্রিয়া, আমি দেখব সিধু কোনও প্রেক্ষিতে এই কথা বলেছেন। তিনি একজন সম্মানীয় প্রদেশ সভাপতি। প্রদেশ সভাপতির সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা না থাকলে কার থাকবে। এদিকে, পাঞ্জাব কংগ্রেসে কোন্দর এমন চরমে পৌঁছেছে যে, বেশ কিছু বিধায়ক ও মন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীর অপসারণের দাবি তুলেছেন। ৮০ জন বিধায়কের মধ্যে ৩৪ জন মঙ্গলবার দলের অন্য নেতাদের সঙ্গে চণ্ডীগড়ে বৈঠক করেন।
কিন্তু উল্টোদিক বৃহস্পতিবার বেশ কিছু বিধায়ক ও আট সাংসদকে নিয়ে চণ্ডীগড়ে নৈশভোজ করেন ক্যাপ্টেন। নিজের শক্তির প্রমাণ প্রকারন্তরে দিয়ে রাখলেন তিনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন