দেশভাগের জন্য দায়ী কে? কংগ্রেস! লোকসভা ভোটের পরে সংসদে প্রথমবারের বক্তৃতাতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের আক্রমণের মুখে কংগ্রেস। জম্মু-কাশ্মীরের প্রসঙ্গের শুরুতেই তুলোধোনা করলেন শতাব্দীপ্রাচীন দলকে। লোকসভায় জম্মু কাশ্মীরে রাষ্ট্রপতি শাসনের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক চলছিল, যে প্রস্তাব পরে অনুমোদিতও হয়। সূত্রপাত হয়েছিল সংবিধানের ৩৫৬ ধারা ব্যবহার করে কোনও রাজনৈতিক দল নির্দিষ্ট রাজ্যের উপরে কেন্দ্রীয় শাসন ব্যবস্থা প্রয়োগ করতে পারে কিনা, তা দিয়েই। সেই সময়েই তীব্র আক্রমণ শানিয়ে শাহ বলেন, কংগ্রেসই ৩৫৬ ধারাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ব্যবহার করেছে।
তীব্র ক্ষোভ উগরে অমিত শাহ জানিয়ে দেন, "রাজনৈতিক কারণে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কখনওই আমরা ৩৫৬ ধারা ব্যবহার করিনি। কিন্তু কংগ্রেস সেটা করেছে।" তিনি বলেন, এর আগে ১৩২ বার সংবিধানের ৩৫৬ ধারা ব্যবহার করা হয়েছে। সেই ১৩২ বারের মধ্যে ৯৩ বারই এই ধারা ব্যবহার করেছে কংগ্রেস দল।
আরও পড়ুন, দেশে ফ্যাসিবাদের ছায়া, প্রথম ভাষণে সরব মহুয়া
অমিত শাহ আরও বলেন, "জম্মু-কাশ্মীরের এক তৃতীয়াংশ আমাদের সঙ্গে নেই। এর জন্য দায়ী কে? জম্মু-কাশ্মীরবাসীর উন্নতি সাধন আমাদের অগ্রাধিকার। ওঁরা অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। অন্যদের তুলনায় ওঁদের উন্নতি বেশি প্রাপ্য।"
অমিত শাহকে কার্যত থামানোই যাচ্ছিল না শুক্রবারের সংসদে। তিনি কংগ্রেসকে দেশভাগের জন্য সরাসরি দায়ী করে বলেন, "ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগ করেছে কে? জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের মনে সন্দেহের বীজ বপন করেছে কে? কংগ্রেস সবকিছু করেছে।" এই সময়ে কংগ্রেসের পাশাপাশি জওহরলাল নেহরুর নাম অমিত শাহের বক্তৃতায় উঠে এলে সঙ্গে সঙ্গে কংগ্রেসের সাংসদরা প্রতিবাদ জানান।
জম্মু-কাশ্মীরের এই অবস্থার প্রসঙ্গে এক সময়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রয়াত মোরারজি দেশাই, অথবা প্রয়াত অটল বিহারী বাজপেয়ীর প্রসঙ্গও তুলে আনেন শাহ। প্রথমবারের মতো লোকসভার সাংসদ জানান, "আমাদের সরকারে মোরারজি দেশাই হোন বা অটল বিহারী বাজপেয়ী, কাশ্মীরে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে নির্বাচন হয়েছিল।"
Read the full story in English