বেশ কয়েক মাসের ডামাডোল, মান-অভিমান, বিদ্রোহ পর্বের শেষে শনিবারের বারবেলায় পদত্যাগ করেছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। শীর্ষ নেতৃত্ব এবং সহকর্মীদের আচরণে বীতশ্রদ্ধ, লজ্জিত-অপমানিত হয়ে গদি ছাড়েন ক্যাপ্টেন। কিন্তু ইস্তফা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে দলের সর্বোচ্চ নেত্রীকে ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
ইস্তফা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে চিঠি লিখে নিজের ক্ষোভের কথা সনিয়াকে জানিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন। গত পাঁচ মাসের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা যে তাঁর সুখের হয়নি এবং তাতে যে তিনি বিরক্ত ছিলেন তা ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দেন কংগ্রেস সভানেত্রীকে। তিনি চিঠিতে সাফ জানান, "যা হচ্ছে তা জাতীয় স্বার্থে পাঞ্জাবের মূল ইস্যুগুলির ভিত্তিতে হচ্ছে না।" তবে ক্যাপ্টেন এও লেখেন যে, "নিজের ক্ষোভ থাকলেও আমি আশা করব যা হল তার জন্য রাজ্যের অনেক কষ্টার্জিত শান্তি-উন্নয়ন প্রক্রিয়া কোনওভাবে নষ্ট হবে না।"
তিনি আরও বলেছেন, "আমার আশা গত কয়েক বছরে আমি যা করার চেষ্টা করেছি রাজ্যের জন্য তা অব্যাহত থাকবে এবং সবার বিচার যেন একই থাকে।" ক্ষোভের কথা জানিয়ে ক্যাপ্টেনের এই চিঠি এখন প্রকাশ্যে চলে এসেছে। আর চিঠির দৌলতে ফের একবার কংগ্রেসের অন্তর্কলহ সর্বসমক্ষে চলে এল। গত কয়েক মাস ধরে পাঞ্জাবে কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব এবং বিধায়কদের বিদ্রোহের জেরে বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ ফের একবার মুখ পোড়াল শতাব্দী প্রাচীন দলের।
আরও পড়ুন লজ্জিত-অপমানিত হয়ে ইস্তফা, যে পাঁচটি কারণে গদি ছাড়তে হল ক্যাপ্টেনকে
এদিকে, প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি সুনীল জাখরের নাম ক্যাপ্টেনের উত্তরসূরী হিসাবে উঠে এলেও পাঞ্জাবের কংগ্রেস সাংসদরা তাঁকে গদিতে বসাতে নারাজ। সুনীল ব্যক্তিগত ভাবে রাহুল গান্ধীর পছন্দের লোক। তিনি মুখ্যমন্ত্রী হলে ১৯৬২ সালে পাঞ্জাব ও হরিয়ানার বিভাজনের পর প্রথম কোনও হিন্দু মুখ্যমন্ত্রী পাবে পঞ্চ নদের রাজ্য। কিন্তু তাঁকে চান না সাংসদরা। এমনকী সর্বোচ্চ নেতৃত্বকেও সেকথা জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। তাই এখন ক্যাপ্টেনের উত্তরসূরী বাছতে হিমশিম খাচ্ছে কংগ্রেস।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন