দিল্লির ক্যাবিনেটে আসছেন সৌরভ ভরদ্বাজ ও আতীশী। মণীশ সিসোদিয়া ও সত্যেন্দ্র জৈনের গ্রেফতার ও পদত্যাগের পর অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মন্ত্রিসভায় কারা মন্ত্রিত্বের সুযোগ পাবেন? তা নিয়ে চাপানউতোর চড়ছিল। শেষ পর্যন্ত বুধবার দুপুরে সেই চর্চার অবসান হল। জানা গিয়েছে, সৌরভ ও অতীশীকে মন্ত্রী করার প্রস্তাব দিল্লির উপ-রাজ্য়পাল ভি কে সাক্সেনার কাছে পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
সূত্রের খবর, অতীশীকে শিক্ষা, শ্রম এবং পর্যটনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগগুলির দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। বিশেষ করে জি-২০ সম্মেলনের কথা বিবেচনা করেই এই পদক্ষেপ। সৌরভ ভরদ্বাজকে স্বরাষ্ট্র, পূর্ত, বিদ্যুতের মত অতি গুরুত্বপূর্ণ দফতরের মন্ত্রী করা হবে। উল্লেখ্য, মন্ত্রী থাকাকালীন উপমুখ্যমন্ত্রী সিসোদিয়ার হাতে ছিল ১৮টি বিভাগ।
আপ সূত্রে জানা গিয়েছেস, নতুন মন্ত্রী নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত মঙ্গলবার রাতে অর্থ, পূর্ত, স্বরাষ্ট্র, বিদ্যুৎ, পরিকল্পনা, নগর উন্নয়ন, সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং জলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কৈলাস গাহলটকে। নয়া মন্ত্রী নিয়োগের পর অর্থ ও পরিকল্পনা দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে কৈলাস গাহলটকে। দিল্লির শাসক দলের এক নেতার কথায়, 'কৈলাস গাহলট দীর্ঘদিন মন্ত্রিসভায় রয়েছেন এবং রাজস্ব বিভাগের দায়িত্ব পেয়েছেন। অর্থ এবং পরিকল্পনা হল মূল বিভাগ, বিশেষ করে যখন বার্ষিক বাজেট পেশ করতে হয়।' গাহলট গত সপ্তাহে সিসোদিয়ার সঙ্গে বাজেট প্রস্তুতি বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন।
সৌরভ ভরদ্বাজ দক্ষিণ দিল্লির গ্রেটার কৈলাস বিধানসভা এলাকার বিধায়ক। আপের প্রধান মুখপাত্র। তিনি দিল্লি জলবোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যানও। ২০১৩-১৪ সালে ৪৯ দিনের জন্য মন্ত্রীও ছিলেন। সেসময় অরবিন্দ কেজরিওয়াল জন লোকপাল বিল সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পদত্যাগ করেছিলেন। আতীশী কালকাজির বিধায়ক। আপের রাজনীতি সংক্রান্ত কমিটির সদস্য। তিনি শিক্ষা বিষয়ে ২০১৫ থেকে ২০১৭ সালে মণীশ সিসোদিয়ার উপদেষ্টা ছিলেন।