Advertisment

মিছিলে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখলেও অন্যত্র ছাড় কমিশনের

প্রকাশ্য সভার ক্ষেত্রে সর্বমোট ৩০ শতাংশ কর্মী নিয়ে সভা করা যাবে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Uttar Pradesh, Akhilesh Yadav, BJP

মেরঠের এক জনসভায় অখিলেশ যাদব এবং জয়ন্ত চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফা। তার আগে রবিবার নির্বাচন কমিশন ফের জানাল, আপাতত মিছিল থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রশ্নই নেই। একইসঙ্গে অবশ্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে বেশ কিছু ছাড়পত্রও দিল কমিশন। তার অন্যতম হল, ইন্ডোর হলে নির্বাচনী সভা এবং প্রকাশ্য নির্বাচনী সভা। এই সব সভার মধ্যে ইন্ডোরের ক্ষেত্রে মোট আসনসংখ্যার ৫০ শতাংশ আসনে কর্মী নিয়ে বৈঠক করতে পারবে রাজনৈতিক দলগুলো। আর, প্রকাশ্য সভার ক্ষেত্রে সর্বমোট ৩০ শতাংশ কর্মী নিয়ে সভা করা যাবে। এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছেন কমিশনের আধিকারিকরা।

Advertisment

তবে মিছিল, পদযাত্রা, বাইক মিছিল, সাইকেল মিছিল, গাড়ি মিছিলের কোনওটাই করা যাবে না। এগুলোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আগের মতোই বহাল থাকছে। এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন বাড়িতে ঘুরে নির্বাচনী প্রচারের জন্য আগেই লোকসংখ্যা ঠিক করে দিয়েছিল কমিশন। সর্বমোট ২০ জনকে নিয়ে এলাকার বিভিন্ন গাড়িতে ঘুরে প্রচার চালানো যাবে বলে আগেই জানিয়েছেন কমিশনের আধিকারিকরা। সেই নির্দেশও বহাল থাকবে আগামী দিনগুলোয়। পাশাপাশি, রাত ৮টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রচারে নিষেধাজ্ঞাও আগের মতোই বহাল রেখেছে কমিশন।

এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি এক বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, মিছিল এবং পদযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেই নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার কথা সেই সময় কমিশনের আধিকারিকরা জানিয়েছিলেন। তার আগেই নতুন করে বিজ্ঞপ্তি স্রেফ সভায় ছাড় দিতে জারি করল কমিশন। তবে, একইসঙ্গে যেহেতু মিছিল নিয়েও প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই উঠত, তাই মিছিলের ব্যাপারেও মতামত জানিয়ে দিলেন কমিশনের আধিকারিকরা।

আরও পড়ুন মোদীর সুরক্ষায় ত্রুটি, তদন্তে আজই পঞ্জাবে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটি

যেসব রাজ্যে নির্বাচন হচ্ছে, কমিশন ইতিমধ্যেই ওই সব রাজ্যের জন্য বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে। ১৫ জন প্রাক্তন আমলাকে প্রতিটি রাজ্যের জন্য নিয়োগ করা হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন পর্যবেক্ষক তাঁদের রিপোর্টও পাঠিয়েছেন। সেই সব রিপোর্টে জানান হয়েছে, বহু জায়গাতেই কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। করোনা পজিটিভিটির হার অনেকটাই কমেছে।

বিশেষ পর্যবেক্ষকরা রিপোর্ট দিয়েছেন যে ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার থেকে শুরু করে নির্বাচনী আধিকারিকদের ইতিমধ্যেই করোনার প্রথম ডোজ, দ্বিতীয় ডোজ এবং বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনী আচরণবিধির ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া যেতে পারে। এমনই পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষ পর্যবেক্ষকরা। তাঁদের সেই পরামর্শকে মাথায় রেখেই ইন্ডোর সভা এবং প্রকাশ্য সভার ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হল বলেই জানিয়েছে কমিশন।

election commission
Advertisment