পেগাসাস স্পাইওয়্যারের নজরদারির জাল যে সুদূর বিস্তৃত তা ধীরে ধীরে উন্মোচন হচ্ছে। ২০১৯ সালে কর্ণাটকে কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকার ফেলার ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা পালন করে পেগাসাসের আড়ি পাতা। এমনটাই উঠে এসেছে রিপোর্টে। মঙ্গলবার কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী বিজেপিকে নজরদারি বিতর্কে চরম আক্রমণ করেছেন। বলেছেন, সরকার ফেলার জন্য কত দূর পর্যন্ত যেতে পারে তা বিজেপি দেখিয়ে দিয়েছে।
মঙ্গলবারই প্রকাশ্যে এসেছে, পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে কুমারস্বামীর এক আপ্ত সহায়কের ফোনে আড়ি পাতা হয়। জোট সরকারের শেষ কয়েকদিন সেই নজরদারি চালানো হয়ে বলে অভিযোগ। জনতা দল নেতা বলেছেন, "ক্ষমতায় আসতে বিজেপি অনেক নিচে নামতে পারে। এটা ভয়ঙ্কর প্রবণতা।" কাকতালীয় ভাবে সেই আপ্ত সহায়ক ২০১৯ সালে সরকারের পতনের পর সিবিআই তদন্তের মুখোমুখি হন। অভিযোগ, বিরোধীদের ফোনে আড়ি পাতা।
কংগ্রেসের উপমুখ্যমন্ত্রী জি পরমেশ্বরা, কুমারস্বামীর আপ্ত সহায়ক সতীশ, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার ব্যক্তিগত সচিব ভেঙ্কটেশ, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়ার ব্যক্তিগত রক্ষী মঞ্জুনাথ এই নজরদারির তালিকায় ছিলেন বলে প্রকাশ্যে এসেছে।
আরও পড়ুন ‘গুপ্তচর সরকার’ স্লোগানে ব্যাহত লোকসভা! ‘প্রস্তুতিহীন লকডাউন’, কেন্দ্রকে কংগ্রেসের খোঁচা
এই প্রসঙ্গে কুমারস্বামীর বক্তব্য, "সিদ্দারামাইয়া, পরমেশ্বরা এবং আণার নাম নজরদারির তালিকায় ছিল। এ নিয়ে আমি চিন্তিত নই। কারণ, বহু ক্ষেত্রে সরকার, আয়কর দফতর বহু বিশিষ্টদের ফোনে আড়ি পাতে। গত ১০-১৫ বছর ধরে এটা চলছে। এটা এখন রুটিনে পরিণত হয়েছে। এতেই বোঝা যাচ্ছে, বিজেপি এখন রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, সমাজকর্মীদের ফোনে নজরদারি করছে, একদিন আসবে যখন সাধারণ নাগরিকের ব্যক্তিগত জীবনে উঁকি দিতেও পিছপা হবে না। মানুষ বিজেপির কর্মকাণ্ড নিয়ে সচেতন হোক।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন