তামিল আবেগ উসকে দিয়ে দলের ভিত আরও মজবুত করতে এবার শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতিকে ব্যবহার করলেন ডিএমকে প্রধান এমকে স্ট্যালিন। শুক্রবার তামিলনাড়ু বিধানসভায় একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। প্রস্তাবে কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে, শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে তামিলনাড়ু সরকারকে মানবিক সাহায্য করতে দেওয়া হোক।
এর আগে একাধিকবার স্ট্যালিনের নেতৃত্বাধীন তামিলনাড়ু সরকার কেন্দ্রকে এই অনুরোধ করেছিল। কিন্তু, কেন্দ্র কোনও জবাব দেয়নি। তারপরই গোটা বিষয়টি প্রস্তাব আকারে বিধানসভায় পেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তামিলনাড়ুর শাসক দল ডিএমকে। তামিল আবেগের প্রশ্ন, তাই তামিলনাড়ু বিধানসভার কোনও বিধায়ক এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেননি। এমনকী, এমনকী বিরোধিতা করেননি বিজেপিও।
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন মাসখানেক আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। দিল্লিতে সরাসরি মোদীর কাছেই অনুরোধ করেছিলেন, তাঁর সরকারকে শ্রীলঙ্কাবাসীর পাশে দাঁড়াতে দেওয়া হোক। কারণ, তামিলনাড়ু থেকে বহু মানুষ জলপথে শ্রীলঙ্কায় গিয়ে বসবাস করছেন। তাঁদের সাহায্যের জন্যই শ্রীলঙ্কাবাসীর পাশে দাঁড়াতে চান বলে জানিয়েছিলেন স্ট্যালিন। কিন্তু, মোদী কোনও আশ্বাস তো দেননি। উলটে, এরপর তামিলনাড়ু সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রের প্রতিনিধি রাজ্যপাল আরএন রবির সম্পর্ক ঠেকে তলানিতে। বিধানসভায় পাশ করানো তামিলনাড়ু সরকারের বিভিন্ন বিল বেআইনিভাবে আটকে রেখেছেন রাজ্যপাল আরএনরবি। এমন অভিযোগে সরকার-রাজভবন সম্পর্ক এখন আদায়-কাঁচকলায়।
আরও পড়ুন- কী গরম! ১২২ বছরে এটাই সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা, জানাল আবহাওয়া দফতর
সেসব কথা মাথায় রেখেই রীতিমতো প্রস্তাব পাশ করে তামিলনাড়ু সরকার প্রাথমিকভাবে ঠিক করেছে, ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪০ হাজার টন চাল শ্রীলঙ্কায় পাঠানো হবে। ২৮ কোটি টাকা দিয়ে ১৩৭ রকমের জীবনদায়ী ওষুধ কিনে তা পাঠানো হবে। আর, ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০০ টন দুধের গুঁড়ো পাঠানো হবে শ্রীলঙ্কায়। তবে, গোটা বিষয়টিই বিদেশ মন্ত্রকের ছাড়পত্রের আওতায় পড়ে। কারণ, শ্রীলঙ্কা আলাদা রাষ্ট্র। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরকেও সেই কারণে চিঠি দিয়েছেন স্ট্যালিন। কিন্তু, তাঁর থেকেও কোনও উত্তর এখনও পর্যন্ত তিনি পাননি। শ্রীলঙ্কা বর্তমানে চরম অর্থসংকটে ভুগছে। আর্থিক সংকটের জন্য সেখানকার বাসিন্দারা নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পাচ্ছেন না। সেই কারণেই উঠছে সাহায্যের প্রশ্ন।
Read story in English