/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/04/Chandigarh-punjab-bhagwant-maan-amit-shah.jpg)
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত ঘোষণা করেছিলেন যে, এবার থেকে চণ্ডীগড়ের সরকারি কর্মীরা কেন্দ্রীয় সরকারের সুযোগ সুবিধা পাবেন। যার প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। তাঁর অভিযোগ ছিল যে, সরকারি কর্মীদের প্রভাবিত করতেই এই ঘোষণা করেছেন শাহ। চণ্ডীগড়কে পাঞ্জাবের দখলে রাখতেই মরিয়া আপ সরকার। এই দাবি সেরাজ্যের বাসিন্দাদেরও। এই প্রেক্ষিতে দাবি আদায়ে কালবিলম্ব করতে রাজি নয় মান সরকার। শুক্রবার বিশেষ অধিবেশনে পঞ্জাব বিধানসভা চণ্ডীগড়কে রাজ্যে স্থানান্তর করার দাবি জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করেছে।
মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান বলেছেন যে, পঞ্জাবকে ১৯৬৬ সালের পঞ্জাব পুনর্গঠন আইনের মাধ্যমে পুনর্গঠিত করা হয়েছিল। যেখানে পঞ্জাব ভেঙে হরিয়ানা হয়, চণ্ডীগড়ের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলঘোষণা করা হয়েছিল। এছাড়াও পঞ্জাবের কিছু অংশ তৎকালীন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিমাচল প্রদেশকেও দেওয়া হয়েছিল।
প্রস্তাবে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে যাতে তারা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর নীতিগুলিকে সম্মান করে। এছাড়াও , চণ্ডীগড়ের প্রশাসন যেন এমন কোনও পদক্ষেপ না করে, যাতে ভাকরা বিয়াস ম্যানেজমেন্ট বোর্ডের মতো অন্যান্য সাধারণ সম্পদগুলির ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়।
Punjab Chief Minister @BhagwantMann moves an official resolution during special session of Punjab Vidhan Sabha reiterating claim on Chandigarh as its capital @iepunjab @IndianExpress @AmitShah pic.twitter.com/NVvrRvGNqC
— Kanchan Vasdev (@kanchan99) April 1, 2022
বিধানসভায় এ দিন পাস হওয়া প্রস্তাবে উল্লেখ রয়েছে, 'অতি সম্প্রতি, কেন্দ্রীয় সরকার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানিয়েছে যে ভাকরা বিয়াস ম্যানেজমেন্ট বোর্ডের সদস্যদের পদে সব রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের অফিসাররা বসতে পারবেন। কিন্তু এই পদগুলি ঐতিহ্যগতভাবেই পঞ্জাব এবং হরিয়ানার অফিসাররাই এই পদে বসতেন।'
মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান বলেছেন, 'সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার চণ্ডীগড়ে বাইরের অফিসারদের পোস্ট করেছে এবং চণ্ডীগড় প্রশাসনের কর্মচারীদের জন্য কেন্দ্রীয় সিভিল সার্ভিস বিধি লাগু করেছে, যা সম্পূর্ণভাবে বোঝাপড়ার বিরুদ্ধাচারণ। চণ্ডীগড় শহরকে পঞ্জাবের রাজধানী হিসাবে তৈরি করা হয়েছিল। অতীতেসবক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে যে, যখনই একটি রাজ্য বিভক্ত হয়েছে, রাজধানীটি মূল রাজ্যের কাছেই রয়ে গিয়েছে। অতএব, চণ্ডীগড়কে পঞ্জাবে হস্তান্তর করার জন্য দাবি তুলেছে পঞ্জাব। অবিলম্বে চণ্ডীগড়কে পঞ্জাবের কাছে স্থানান্তর করা হোক।'
১৯৬৬ সালে পঞ্জাবের পুনর্গঠনের সময় চণ্ডীগড়কে পঞ্জাব এবং হরিয়ানা উভয় রাজ্যেরই রাজধানী করা হয়। এবং চণ্ডীগড়কে এটিকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল। এর প্রশাসনের উপরও কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
Read in English