প্রবল তুষারপাতের মধ্যেই উপত্যকায় সমাপ্ত হল কংগ্রেসের 'ভারত জোড়ো যাত্রা'। গত চার মাসে দেশের দক্ষিণপ্রান্ত থেকে উত্তরে কাশ্মীর পর্যন্ত হেঁটেছেন রাহুল গান্ধী। বেশ কয়েকবার তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলো। এদিনের বক্তব্যেও তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে কী সতর্কবাণী শোনানো হয়েছিল সেই বিষয়টি তুলে ধরেন ওয়ানাড়ের কংগ্রেস সাংসদ। বলেন, 'এখানকার লোকেরা আমাকে হ্যান্ড গ্রেনেড দেয়নি, দিয়েছে ভালবাসায় পূর্ণ হৃদয়।' গেরুয়া বাহিনীকে খোঁচা দিয়ে রাহুলের দাবি, তাঁর মতো করে জম্মু-কাশ্মীরে বিজেপি নেতা, কর্মীরা হাঁটতে পারবেন না। কারণ ওরা ভয়েকুঁকড়ে থাকে।
জঙ্গি নিশানায় বারে বারে ক্ষতবিক্ষত উপত্যকা। সন্ত্রাসবাদের শিকার বহু পরিবারের প্রিয়জনেরা। এই পরিস্থিতিতে কাশ্মীরের মাটিতে দাঁড়িয়ে নিজের বাবা রাজীব গান্ধীর হত্যাকাণ্ডের কথা স্মরণ করান রাহুল গান্ধী। জানান, পুলওয়ামায় নিহত সেনাকর্মীদের পরিবারের বেদনার কথা তিনি হাড়ে হাড়ে বোঝেন।
'ভারত জোড়ো যাত্রা'র সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যবাহী কাশ্মীরি ফেরান পরে বক্তব্য পেশ করেন রাহুল গান্ধী। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, এদিনের অনুষ্ঠানে কংগ্রেসের মঞ্চে বিজেপি বিরোধী দলগুলোর মধ্যে ডিএমকে, ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিডিপি, সিপিআই, আরএসপি এবং আইইউএমএলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, 'ভারত জোড়ো যাত্রা নির্বাচন জেতার জন্য নয়, ঘৃণার বিরুদ্ধে ছিল।'
চার হাজার কিমি-র বেশি পথ অতিক্রম করে রবিবারই শেষ হয় কংগ্রেসের 'ভারত জোড়ো যাত্রা'। ওইদিনই রাহুল শ্রীনগরের চেশমা সাহিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। গত চার মাসে ভারত জোড়ো যাত্রা কর্মসূচিতে ১২টি রাজ্যের উপর দিয়ে হেঁটেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে একটি সাক্ষাৎকারে, কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কে সি বেণুগোপাল বলেছেন, 'অবশ্যই ভারত জোড়ো যাত্রার দ্বিতীয় পর্ব হবে। তবে আমরা এখনও তার দিনক্ষণ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। সেই যাত্রাও নেতৃত্বে থাকবেন রাহুল গান্ধী।'