/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/12/Assam-BJP.jpg)
যেখানে যেখানে একুশে বিধানসভা নির্বাচন সেখানেই দল ভাঙার খেলায় মজেছে গেরুয়া শিবির, এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। একুশের নির্বাচনের আগে ভাঙন অব্যাহত কংগ্রেসের। মঙ্গলবার আসামে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন এক প্রাক্তন মন্ত্রী-সহ দুই বিধায়ক। কয়েকদিন আগেই গুয়াহাটিতে তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তারপরেই এদিন পদ্মশিবিরে যোগ দেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কংগ্রেস বিধায়ক অজন্তা নিয়োগ এবং লখিমপুরের বিধায়ক রাজদীপ গোয়ালা।
এদিন রাজ্য বিজেপি সভাপতি রঞ্জিৎ দাস এবং আসামের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার উপস্থিতি তরুণ গগৈ সরকারের প্রাক্তন পূর্তমন্ত্রী তথা গোলাঘাটের বিধায়ক অজন্তা নিয়োগ এবং লখিমপুরের বিধায়ক রাজদীপ গোয়ালা গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন। এদিন বোড়োল্যান্ড পিপলস ফ্রন্টের প্রাক্তন বিধায়ক বনেন্দ্র মুশাহারিও বিজেপিতে যোগ দেন। বিপিএফ আসামে বিজেপির জোটসঙ্গী হলেও সম্প্রতি বোড়োল্যান্ড পর্ষদের নির্বাচনে বিপিএফের সঙ্গত্যাগ করে ইউপিপিএলের সঙ্গে জোট বেঁধে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি।
আরও পড়ুন “টাকা দিয়ে এমএলএ কেনা যায়, তৃণমূলকে কেনা যায় না”, বিজেপিকে নিশানা মমতার
এদিন হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছেন, নির্বাচনের আগে এটা দলের বড় জয়। এই তিন নেতা-নেত্রী বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় আগামী নির্বাচনে ১০০ আসনে জয়ের লক্ষ্যপূরণ হওয়ার পথে। সেই লক্ষ্যেই দল এগিয়ে চলেছে। অজন্তা নিয়োগ বলেছেন, "বিজেপি ভবিষ্যতের কথা ভেবে এগিয়ে চলেছে। যে দল এতদিন করে এসেছি তা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ২০ বছর ধরে আমি দলের সেবা করে গেলাম তার বদলে কোনও সম্মান পেলাম না।"
১৯৯৬ সালে তাঁর স্বামী তথা প্রাক্তন মন্ত্রী নগেন নিয়োগকে খুন করে উলফা জঙ্গিরা। আপার আসামের জনপ্রিয় নেত্রী অজন্তা ২০০১ সাল থেকে বিধায়ক। তরুণ গগৈয়ের মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন তিনি। রাজদীপ গোয়ালার বাবা দীনেশ প্রসাদ গোয়ালা সাতবারের কংগ্রেস বিধায়ক এবং প্রাক্তন মন্ত্রী। ২০১৪ সালে তাঁর মৃত্যুর পর ছেলে রাজদীপকে টিকিট দেয় কংগ্রেস। নেতার মৃত্যুর সমবেদনা ভোটে খুব সহজে জিতে যান রাজদীপ।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন