বামপন্থী ছাত্র নেতা কানহাইয়া কুমারকে সামনে রেখেই এখন আশার আলো দেখছে বিহার কংগ্রেস। গতকালই কানহাইয়া সিপিআই ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। যোগ দেওয়ার পর তিনি বলেছেন, কংগ্রেসের মতো এত বড় দল, এত বড় জাহাজকে ডুবতে দেওয়া যাবে না। কানহাইয়ার কথার মধ্যেই হারানো আত্মবিশ্বাস খুঁজে পাচ্ছেন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা।
বিহারের অনেক কংগ্রেস কর্মী কানহাইয়ার যোগদানে উৎফুল্ল। তাঁরা মনে করছেন, যুবনেতার যোগদানে দলে নতুন শক্তি সঞ্চার হবে। দলও জড়তা থেকে বেরিয়ে আসবে। বিহার কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি কাওকাব কাদরি দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, কানহাইয়া কুমার জনপ্রিয় নেতা এবং ভাল বক্তা। নিশ্চিত ভাবেই তিনি দলের মধ্যে নয়া শক্তি সঞ্চার করবেন। এবং দলকে জড়তামুক্ত করবেন। সত্যিকারের তারকা প্রচারক হওয়ার মতো সবকিছু রয়েছে তাঁর মধ্যে।
কিন্তু কানহাইয়া যদি দলের বর্ষীয়ান নেতাদের কাছে বাধা পান, তার উত্তরে কাদরি বলেছেন, কানহাইয়া কে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড দলে নিয়েছে। তাই তাঁকে বাধা দেওয়ার কেউ নেই। কাদরির কথায়, দল বর্ষীয়ান নেতাদের অনেক সময় দিয়েছে, এবার নেতৃত্ব যুবনেতাদের দলে নিয়ে আসছে। এচাকে সবার স্বাগত জানানো উচিত। বিহারের বিধায়ক এবং কংগ্রেস নেতা প্রেম চন্দ্র মিশ্র একই সুরে বলেছেন, কানহাইয়াকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি। তাঁর মধ্যে নেতৃত্বের সব গুণ রয়েছে।
আরও পড়ুন ‘কংগ্রেস ছাড়া দেশ বাঁচবে না’! রাহুলের উপস্থিতিতে হাত ধরলেন কানহাইয়া
তবে বিহার কংগ্রেস সূত্রে খবর, এখনই রাজ্য নেতৃত্বে কোনও পদ পাচ্ছেন না কানহাইয়া। কিন্তু নিচুতলার কংগ্রেস কর্মীদের দলের কাজে উৎসাহ দিতে কানহাইয়াকে কাজে লাগাবে নেতৃত্ব। উচ্চবর্ণ ছাড়াও দলিত, মুসলিম এবং যুবদের মধ্যে কানহাইয়ার জনপ্রিয়তা মারাত্মক। সেটাই কাজে লাগাবে কংগ্রেস।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন