মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর বেশ কিছুদিন ঘনিষ্ঠদের নিয়ে দলের হয়ে প্রচার করে বেড়াচ্ছিলেন বিপ্লব দেব। চষে বেড়াচ্ছিলেন ত্রিপুরার এক থেকে অন্য প্রান্ত। কিন্তু দলের গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিতে তাঁকে সেভাবে দেখা যাচ্ছিল না। আবার দল থেকে এখনও তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ কোনও দায়িত্বও দেওয়া হয়নি। তা নিয়ে জল্পনা বাড়ছিল।
তার মধ্যেই ত্রিপুরা সফরে এসেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষ। স্বভাবতই সন্তোষের সফরে বিপ্লব দেবকে নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। মঙ্গলবার বিপ্লব দেবকে অনেকদিন বাদে ফের দেখা যায় দলের গুরুত্বপূর্ণ সভায়। ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপির সাংগঠনিক সভায় মঙ্গলবার তিনি মঞ্চে সন্তোষের সঙ্গেই উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৪ মে মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে সরানো হয় বিপ্লব দেবকে। কিন্তু, তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত দল তাঁকে কোনও পদ দেয়নি। যদিও পদত্যাগের সময় বিপ্লব দেব বলেছিলেন, দলের কাজের জন্যই তিনি মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়ছেন। কিন্তু, বিজেপি নেতৃত্ব বিপ্লব দেবের এই বক্তব্য সম্পর্কে কোনও উচ্চবাচ্য করেনি। আবার কোনও পদ দিয়ে বিশেষ দায়িত্বও দেয়নি।
আরও পড়ুন- জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে আর্থিক নয়ছয়, ফারুক আবদুল্লাকে চার্জশিট ইডির
তার পর সাম্প্রতিক উপনির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। সেখানেও প্রচারে দেখা যায়নি বিপ্লব দেবকে। অথচ, সাহা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর দুই নেতা বেশ কয়েকবার পরস্পরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। একটা সময় ত্রিপুরা বিজেপিতে বিপ্লব দেবকে মনে করা হত মানিক সাহার পরামর্শদাতা। কিন্তু, বিজেপি সূত্রে খবর, পরবর্তী সময়ে সেই সম্পর্কে চিড় ধরেছে।
এই পরিস্থিতিতে যখন জল্পনা বাড়ছিল, সেই সময়ই ত্রিপুরা সফরে এলেন বিএল সন্তোষ। দু'দিনের সফরে তিনি পরপর বেশ কয়েকটি বৈঠক করবেন। বিজেপি সূত্রে খবর, ৮ থেকে ১০টি বৈঠক করার কথা রয়েছে সন্তোষের। কখনও বৈঠক হবে দলের প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে। কখনও বৈঠক হবে দলের পদাধিকারীদের সঙ্গে। কখনও আবার বৈঠক হবে সাংসদ, বিধায়ক, মুখপাত্রদের সঙ্গে। বিজেপি নেতারা জানিয়েছেন, ত্রিপুরাতেই প্রথম না। গোটা দেশেই সন্তোষ এমন বৈঠক করে বেড়াচ্ছেন। ত্রিপুরায় আসার আগে তিনি অসমে গিয়েছিলেন। ত্রিপুরা থেকে যাবেন বিহারে।
Read full story in English