ভোটমুখী তামিলনাড়ুতে গিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপিকে আক্রমণ শানালেন রাহুল গান্ধী। একটি কলেজের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে কংগ্রেস সাংসদ তোপ দেগে বলেন, "বিজেপির জমানায় গত ছয়-সাত বছরে কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলিতে আঘাত হেনে গণতন্ত্রকে খুন করা হয়েছে। লোকসভা, বিধানসভা, পঞ্চায়েত ব্যবস্থা, বিচারব্যবস্থা এবং সংবাদমাধ্যম, এই প্রতিষ্ঠানগুলিই দেশকে ধরে রাখে। কিন্তু গত ছয়-সাত বছরে পরিকল্পিত হামলায় এগুলিকে শেষ করে দেওয়া হয়েছে।"
এরপরই তিনি ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ তুলে বলেন, "রাজস্থান-মধ্যপ্রদেশে বিধায়ক কেনার জন্য প্রচুর টাকা ছড়ানো হয়। আমি বলছি, কল্পনার অতীত এত টাকা। তাই কংগ্রেস জোটকে ক্ষমতায় আসতে হলে অন্তত দুই-তৃতীয়াংশ আসনে জিততে হবে। যদি ১০-১৫টি আসনের ব্যবধানে জিতি তাহলে সেটা জয় বলা যাবে না। এটা পরাজয়, কারণ বিজেপি ওই ১০-১৫ জনকে কেনার জন্য টাকা ছড়াবে। এই দলবদল বিরোধী কড়া আইন আনতে হবে। যদি আরএসএস-বিজেপির প্রভাব থেকে বিচারব্যবস্থা-সংসদকে মুক্ত রাখতে হয় তাহলে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে।"
এদিন, ফের ভারত-চিন সংঘাত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন রাহুল। তিনি তোপ দাগেন, চিনকে ভয় পান মোদী। দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে সমঝোতা করেছেন মোদী। তিনি আরও বলেন, "বিশেষ করে ভারতের বিশেষ কৌশলী অঞ্চলগুলিতে থাবা বসিয়েছে চিন। ওরা প্রথমে ডোকলামে সেই ফন্দি করে। তাতে ওরা পরীক্ষা ভারত কী প্রতিক্রিয়া দেয়। ওরা যখন দেখে ভারত কোনও প্রত্যাঘাত করছে না, তখনই একইভাবে লাদাখে এবং অরুণাচলেও আগ্রাসন দেখায় চিন।"