উপকূলীয় রাজ্য গোয়ায় ৪০ আসনের বিধানসভায় অচিরেই ৩০ জন বিধায়কের সমর্থন পেতে পারে বিজেপি সরকার। এমনটাই দাবি করেচেন গোয়ার বিজেপি ইনচার্জ সি টি রবি। চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ২০ টি আসন জিতেছে। এরপর মোট ২৫ জন বিধায়কের সমর্থন নিয়ে সরকার গড়েছে পদ্ম শিবির। বাকি পাঁচ বিধায়ক হলেন নির্দল ও অন্যান্য দলের।
পানাজিতে অনুষ্ঠিত দলের রাজ্য কার্যনির্বাহী সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে সি টি রবি বলেছেন যে, 'আপনাদের কঠোর পরিশ্রমের জন্য বিজেপির বিজয় নিশ্চিত হয়েছে এবং গোয়ায় তৃতীয়বার সরকার গঠনের করা গিয়েছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে এজন্য আমি আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই। বিজেপির নির্বাচনী স্লোগান ছিল'বাবিসান্ত বাভিস অর্থাৎ ২২ নিয়ে সালে ২০২২'। অন্যান্য বিধায়কদের সমর্থনে আমরা আজ ২৫। কিন্তু চিন্তা করবেন না, অনেকেই যোগাযোগে করছেন। ২০২২ সালের মধ্যে আমরা ৩০ পার করব। পার্টি অনুমতি দেয়নি। সেজন্য আমরা এখনও ২৫। যদি দল অনুমতি দেয়, তাহলে ২২য়েই ৩০ হবো।'
১০ মার্চ ভোটের ফলাফল ঘোষণা করার পরে, দুই মহারাষ্ট্রবাদী গোমান্তক পার্টি (এমজিপি) বিধায়ক এবং তিনজন নির্দল বিধায়কের সমর্থনে গোয়ায় সরকার গঠন করেছে বিজেপি। এমজিপি নেতা রামকৃষ্ণ ওরফে সুদিন ধাবলীকরকে মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তের মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, এমজিপি তৃণমূল কংগ্রেসের (টিএমসি) সঙ্গে প্রাক-নির্বাচন জোটে সামিল হয়ে বিধানসভা ভোটে বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।
কংগ্রেস ১১টি আসন জিতেছে, আপের দখলে ২টি আসন। গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি এবং বিপ্লবী গোয়ান্স পার্টি ১ করে আসন জিতেছে। মমতা, অভিষেকের নির্বাচনী প্রচার সত্ত্বেও, তৃণমূল রাজ্যে একটি আসনও জিততে পারেনি।
রাজ্য কার্যনির্বাহী বৈঠকে সাওয়ান্ত, কেন্দ্রীয় পর্যটন প্রতিমন্ত্রী শ্রীপাদ নায়েক, রাজ্যের মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রী বিশ্বজিৎ রানে এবং মৌভিন গোডিনহো সহ অন্যান্য শীর্ষ বিজেপি নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
Read in English