বিজেপি জনগণের জন্য। আর বিরোধীরা বসে আছেন শুধু পরিবার বাছাইয়ের জন্য। বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে যোগ দিয়ে শনিবার এভাবেই বৈঠকের সুর বেঁধে দিলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা। দু'দিনের এই বৈঠকে রবিবারই শেষ দিন। বৈঠকে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তিনি বৈঠকের সমাপ্তি ভাষণ দেবেন। পাশাপাশি, একটি সভা হবে। সেই সভাতেও ভাষণ দেবেন মোদী। সভায় মোদীকে বরণ করে নেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি।
হায়দরাবাদে এই বৈঠকেই ঠিক হচ্ছে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে দলের রণকৌশল। সেই রণকৌশল ঠিক করার আগে উদ্বোধনী ভাষণে দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দেন সভাপতি জেপি নাড্ডা। তিনি দাবি করেন, 'কেন্দ্রীয় সরকার দরিদ্রদের উন্নতির স্বার্থে বহু চেষ্টা করেছে। দরিদ্রদের মানোন্নয়ন ঘটানোর চেষ্টা এখনও চালাচ্ছে। একইসঙ্গে গঠনমূলক রাজনীতির পথেও হাঁটছে বর্তমান সরকার। অপরদিকে বিরোধীরা ধ্বংসাত্মক রাজনীতির পথে হাঁটছে। সঙ্গে, তারা এখনও পরিবারবাদী রাজনীতি করে চলেছে।'
আরও পড়ুন- কাশ্মীরের চিত্রসাংবাদিককে বিমানে উঠতে বাধা, যেতে দেওয়া হল না বিদেশে
নাড্ডার উদ্বোধনী ভাষণ প্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি জুবিন ইরানি বলেন, 'সভাপতি জেপি নাড্ডা তাঁর ভাষণে এই সভার দিক নির্দেশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দেশ গঠনমূল রাজনীতির পথে হাঁটছে। সেই কথাই তাঁর ভাষণে প্রতিফলিত হয়েছে। বিরোধীরা কেবল দেশের জনগণকে খোঁচা দেওয়ার কথাই ভাবে। বিরোধী দলগুলো বেশিরভাগই পরিবারবাদী রাজনীতি করে। তাদের দুর্নীতির জন্য দেশের উন্নয়ন ব্যাহত হয়। দেশের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচিকেও বিরোধীরা নষ্ট করার চেষ্টা করেন।'
স্মৃতি ইরানি আরও জানান, সর্বভারতীয় সভাপতি তাঁর ভাষণে স্পষ্ট জানিয়েছেন, যে দল এবং কেন্দ্রীয় সরকার দরিদ্রশ্রেণির উন্নতির স্বার্থে কাজ করে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনা দেশবাসীর আর্থিক উন্নয়ন ঘটিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের আবাস যোজনায় দেশবাসী সমৃদ্ধ হয়েছে। শৌচালয় নির্মাণের ফলে দেশের মহিলারা উপকৃত হয়েছেন। সমাজের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া মানুষটির কাছেও যাতে উন্নয়ন পৌঁছয়, তা নিশ্চিত করতেই কাজ করে চলেছে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার।
Read full story in English