মধ্যপ্রদেশে গো সংরক্ষণ করতে কড়া আইন প্রণয়ণ করেছে সরকার। সংশ্লিষ্ট রাজ্যের গরু এবং গোশালা সংরক্ষণে উৎসাহ দিতে 'কাউ ক্যাবিনেট' বা 'গো-মন্ত্রক' গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। এবার সেই পথেই হাঁটল কর্নাটক সরকার। গো-নিধন রোধ করার জন্য নয়া বিল পাস হল কর্নাটক বিধানসভায়। কংগ্রেস বিধায়কদের প্রবল বিরোধিতার সত্ত্বেও গবাদিপশু রোধ ও সংরক্ষণ বিল ২০২০ পাশ হয়ে যায়। কিন্তু কর্নাটক বিধানসভায় এই বিল পাশ হওয়ার আগে রীতিমতো সাড়ম্বরে গো-পুজোর আয়োজন করা হয়।
বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল আইনে পরিণত হলে কর্নাটকে গো হত্য়া পুরোপুরি নিষিদ্ধ হবে। এছাড়াও গো-পাচারকারী কিংবা গরু হত্যায় অপরাধীদের কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে। বুধবার সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বিধানসভায় বিলটি পেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা। এসম্পর্কে পশুসুরক্ষা মন্ত্রী প্রভু চৌহানের মত, "আমাদের উপর রাজ্যের ৬ কোটি মানুষ ও বরিষ্ঠ নেতাদের আশীর্বাদ রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ও আমাদের দলীয় নেতাদের ধন্যবাদ আমাকে এই সুযোগ দেওয়ার জন্য। এই প্রথম এখানে গো-পুজোর আয়োজন করা হল। গোরু আমাদের মা। পশু সুরক্ষার জন্যই এই বিল আনা হয়েছে।"
বুধবার পশুসুরক্ষা মন্ত্রী প্রভু চৌহান এই বিলটি পেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই সিদ্দারামাইয়ার নেতৃত্বে ওয়েলে নেমে প্রতিবাদে সরব হন কংগ্রেস বিধায়করা। প্রস্তাবিত বিল নিয়ে বিজনেস অ্যাডভাইজরি কমিটিতে অলোচনার আগেই তা পেশ করা হয়েছে বলে অভিযোগ কংগ্রেস বিধায়কদের। সিদ্দারামাইয়া বলেন, "আমাদের বলা হয়েছিল নতুন বিল পেশ করা হবে না। শুধু এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ পাস করা হবে। কিন্তু হঠাৎই মন্ত্রী গবাদিপশু রোধ ও সংরক্ষণ বিল ২০২০ বিধানসভায় পেশ করলেন।" কংগ্রেসের এই দাবি অবশ্য নস্যাৎ করে দিয়েছেন কর্নাটক বিধানসভার স্পিকার ভিএইচ কাগেরি।