একদশক আগে ২০১১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর, সুপ্রিম কোর্ট তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অন্য ৬২ জনের বিরুদ্ধে রায় দেয়নি। বরং, জাকিয়া জাফরির দায়ের করা অভিযোগটি আহমেদাবাদের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ফেরত পাঠিয়েছিল। সেই সময় মোদী টুইট করেছিলেন, 'ঈশ্বর মহান'। কয়েকদিন পরে, তাঁর ৬২তম জন্মদিনে, নরেন্দ্র মোদী গুজরাতের বিভিন্ন জেলায় সমস্ত ধর্মের লোকেদের সঙ্গে দেখা করে 'সদ্ভাবনা' উপবাস শুরু করেন।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে, একই অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চের রায়ে অবশ্য তিনি প্রতিক্রিয়া জানাননি। কিন্তু, এবারও ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গায় 'বৃহত্তর ষড়যন্ত্রে' অভিযুক্তের তালিকায় ছিল তাঁর নাম। আর, তাঁকে প্রশাসনের দেওয়া 'ক্লিনচিট' বহাল রেখেছে আদালত। অবশ্য মোদী প্রতিক্রিয়া না-জানালেও, বিজেপির উৎসব উদযাপন তাতে মার খায়নি।
গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মোদীর 'মানহানি' করার অভিযোগে সমাজকর্মী তিস্তা শীতলবাদ, অবসরপ্রাপ্ত ডিজিপি আর বি শ্রীকুমার, বরখাস্ত আইপিএস অফিসার সঞ্জীব ভাট এবং অন্যদের ভূমিকার নিন্দা করে বিজেপির প্রায় সব শীর্ষ নেতাই বিবৃতি দিয়েছেন।
একইসঙ্গে, এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন। গুজরাত বিজেপির সভাপতি সি আর পাতিল তো তিস্তা শীতলবাদকে 'কংগ্রেসের পুতুল' বলেও কটাক্ষ করেছেন। পাশাপাশি, মোদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলায় তিনটি 'প্রমাণ জালিয়াতির' অভিযোগও এনেছেন শীতলবাদের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন- চরম নৃশংসতা! নুপুর শর্মাকে সমর্থন দর্জির, খুন করে ভিডিও বানাল দুই আততায়ী
এর একদিন পরে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংবাদসংস্থা এএনআই-কে গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে সাক্ষাত্কার দিয়েছেন। তিনি 'মিডিয়া, রাজনৈতিক দল এবং এনজিও'দের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। সঙ্গে অভিযোগ করেছেন যে মিডিয়া, রাজনৈতিক দল এবং এনজিওর জন্য আদালত 'বিভ্রান্ত' হয়েছে।
শাহ এই সব অভিযোগ তোলার কয়েক ঘণ্টা পরেই, তিস্তা শীতলবাদ ও শ্রীকুমারকে জালিয়াতি, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র-সহ বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। তার মধ্যে একটি এফআইআর-এ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে উদ্ধৃত করা হয়েছে। আর সঞ্জীব ভাট অন্য মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন। তাঁর বিরুদ্ধেও একই অভিযোগে নতুন করে মামলা দায়ের হয়েছে।
Read full story in English