২০১৪ সালে বিজেপির স্লোগান ছিল 'কংগ্রেস মুক্ত ভারত'। পাঁচ বছর পর, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে সেই স্লোগান বদলে হয় 'দুর্নীতি মুক্ত ভারত।' আর ২০২৪-র ভোটে প্রচারের মূল স্লোগান হবে 'পরিবারবাদ মুক্ত ভারত।' হায়দ্রাবাদে বসেছে গেরুয়া দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক। সেখানেই এই স্লোগানে সিলমোহর পড়তে পারে। তৈরি হতে পারে রণনীতি।
এর আগে রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন খোদ নরেন্দ্র মোদী। দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্রের কু-প্রভাবগুলো তুলে ধরেছিলেন তিনি। আদতে নিশানা করেছিলেন কংগ্রেস সহ দেশের বিভিন্ন আঞ্চলিক দলগুলিকে। আগামী লোকসভার প্রচারের অভিমুখও সেটাই করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বিজেপিতে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী বিজেপির ৪২তম প্রতিষ্ঠা দিবসে বক্তব্যে পেশের সময় বলেছিলেন যে, 'বিজেপির নীতি হল রাষ্ট্রভক্তি। বিরোধীদের পরিবার-ভক্তি। পরিবারভিত্তিক দলগুলি কখনই তরুণ কর্মীদের উত্থানকে পছন্দ করে না। তাতে তাদের আসন টলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই তরুণ কর্মীরা সব থেকে বেশি বঞ্চনার শিকার হয়ে থাকেন। বিজেপি কর্মীদের গর্বিত হওয়া উচিত যে দল একে ভোটের ইস্যু বানিয়ে মানুষকে পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির বিপদ সম্পর্কে অবহিত করতে সক্ষম হয়েছে।' প্রধানমন্ত্রীর দাবি ছিল যে, বিজেপি-ই একমাত্র রাজনীতি ও দল পরিচালনায় পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে ও তা শেষের লক্ষ্যে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে।
দলের একজন প্রবীণ নেতার কথায়, '২০২৪ সালের প্রচারের মূল স্লোগান হতে চলেছে পরিবারতন্ত্র মুক্ত ভারতীয় রাজনীতি। কারণ বিজেপি এবার প্রাধান্য দেবে দেশের দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে। দক্ষিণের অধিকাংশ রাজ্যই শাসন করে আঞ্চলিক দল। যেগুলি পরিবারতন্ত্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। যা ভারতীয় রাজনীতি ও গণতান্ত্রিক নীতির সামনে সবচেয়ে বড় বিপদ। পরিবারবাদ ভারতীয় রাজনীতিতে অধিকারবাদের জন্ম দিয়েছে। এ দেশের রাজনীতিতে দুর্নীতি ও অপশাসনের মূল কারণ পরিবারবাদ।'
তেলেঙ্গায়ানায় ভোট এ বছর। ২০২৩ সালে ভোট রয়েছে মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা, কর্ণাটক, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, মিজোরাম এবং রাজস্থানে।
সূত্র জানায় যে হায়দ্রাবাদের বৈঠক থেকে বিজেপি, মোদীর সফল নেতৃত্ব, দরিদ্রদের জন্য তাঁর কল্যাণমূলক কর্মসূচী, কীভাবে তিনি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, কীভাবে তিনি বিশ্বস্তরে ভারতের জন্য সম্মান অর্জন করছেন এবং কীভাবে তিনি দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ও নির্বাচনী জয় সম্ভব হচ্ছে তা তুলে ধরবে।