দিল্লির সীমান্তে প্রায় একমাস ব্যাপী কৃষক বিক্ষোভের মধ্যেই শুক্রবার ছয় রাজ্যের কৃষকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত অটলবিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিবসে দেশজুড়ে মোদীর সেই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান বিভিন্ন জায়গায় জায়ান্ট এলইডি স্ক্রিনে দেখার ব্যবস্থা করে বিজেপি নেতা-কর্মীরা। কিন্তু পাঞ্জাবের একাধিক জায়গায় প্রধানমন্ত্রীর লাইভ অনুষ্ঠান সম্প্রচারের সময় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল। ভাটিন্ডা, কোটকাপুরা, ফাজিলকা এবং জলন্ধরে লাইভ অনুষ্ঠানে বিক্ষুব্ধ কৃষকরা ব্যাপক ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ।
প্রথমে এদিন ভাটিন্ডায় বিজেপির কর্মসূচিতে কৃষকরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনায় পাঁচজন বিজেপি কর্মী আহত হন। তবে কৃষকদের অভিযোগ, কিছু দুষ্কৃতীদের কাণ্ড এই ভাঙচুর। অনুষ্ঠান শুরুর ১৫ মিনিটের মধ্যে কর্মসূচি বন্ধ করতে বাধ্য হয় বিজেপি। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তির জেরে বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। স্থানীয় বিজেপি নেতা মনোরঞ্জন কালিয়া লাঠিচার্জের জেরে আহত হন। চারজন কৃষকও আহত হয়েছেন। ভাটিন্ডার রামচন্দ্র মার্কেটের কাছে মোদীর লাইভ অনুষ্ঠান ঘিরে ব্যাপক গন্ডগোল হয়।
আরও পড়ুন ‘লম্বা দাড়ি-হলুদ জামা পরলেই রবীন্দ্রনাথ হওয়া যায় না’, কাকলির নিশানায় মোদী
জলন্ধরে ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের বিক্ষোভের জেরে ব্যাপক অশান্তির সৃষ্টি হয়। পাঞ্জাবের প্রাক্তন মন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান কৃষকরা। পুলিশ সেখানেও লাঠিচার্জ করে। বেশ কয়েকজন শিখ কৃষকের পাগড়ি খুলে পড়ে যায়। এরপর বিজেপি পার্টি অফিস ঘেরাও করেন কৃষকরা। কোটকাপুরাতেও মোদীর লাইভ অনুষ্ঠানের সম্প্রচারে ব্যাপক গন্ডগোল হয়। বিজেপির অভিযোগ কৃষক সেজে শিরোমণি অকালি দল-কংগ্রেস ও আপের কর্মীরা গন্ডগোল করেছে। বিজেপি পার্টি অফিসের সামনেই প্রধানমন্ত্রীর কুশপুতুল পোড়ান কৃষকরা।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন