Advertisment

প্রথমবারের বিধায়ককে সোজা স্পিকারের আসনে বসানো, চমকে দিল বিজেপি

প্রথমে ছিলেন শিবসেনায়। তারপর জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি। আর, বর্তমান বিজেপিতে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
MLA Rahul Narwekar, বিধায়ক রাহুল নারওয়েকর, Maharashtra Assembly Speaker, মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকার, First-time MLA, প্রথমবারের বিধায়ক, Maharashtra Assembly election, মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন,

মহারাষ্ট্র বিধানসভার নয়া স্পিকার রাহুল নারওয়েকর

পেশায় আইনজীবী। তাই তাই বলে প্রথমবার বিধায়ক হওয়ার পরই সোজা স্পিকারের আসনে বসা! সাধারণত বিধানসভায় অভিজ্ঞদের এই আসনে বসানো হয়। কিন্তু, রাহুল নারওয়েকরের ক্ষেত্রে সেই রীতিই মানল না বিজেপি। প্রথমবারের বিধায়ককেই সোজা বসিয়ে দিল মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকার পদে। তবে, প্রথমবার স্পিকার হলেও রাহুল নারওয়েকরের দলবদলের ইতিহাসটা কিন্তু, নেহাত ছোট নয়।

Advertisment

প্রথমে ছিলেন শিবসেনায়। তারপর জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি। আর, বর্তমান বিজেপিতে। বলতে গেলে কংগ্রেস বাদে মহারাষ্ট্রের প্রথমসারির সব দলই ঘোরা হয়ে গিয়েছে। বিজেপিতেও এসেছেন খুব একটা বেশিদিন হয়নি। ঠিক, গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় ২০১৯ সালে। সেদিক দিয়ে বলতে গেলে বছর ৪৫-এর নারওয়েকরের আচমকা এই রাজনৈতিক উত্থানে রীতিমতো অবাক হচ্ছেন অনেকেই।

গত বিধানসভা নির্বাচনে দক্ষিণ মুম্বইয়ের কোলাবা থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন। জিতেই মহারাষ্ট্র বিজেপিতে বড় পদ পেয়েছেন, মিডিয়া ইনচার্জের দায়িত্ব। দু'দিনের অধিবেশনে বিধানসভায় সরকারকে আস্থা প্রমাণ করতে হবে। শিন্ডে শিবির আশাবাদী তারা পারবে। তারাই আসল শিবসেনা, এমনটাই দাবি করে চলেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডে। উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা তাঁকে বরখাস্ত করেছে। সেসবকে মোটেও তিনি গুরুত্ব দিচ্ছেন না।

আরও পড়ুন- উদ্ধবের ঘর ভাঙিয়ে তড়তড়িয়ে এগোচ্ছেন শিণ্ডে, কাল শক্তি পরীক্ষা

তবে, আস্থাভোটে স্পিকার হিসেবে নারওয়েকরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। দীর্ঘ ১৫ বছর তাঁর সঙ্গে শিবসেনার সম্পর্ক ছিল। ২০১৪ সালে তিনি মহারাষ্ট্র বিধান পরিষদের সদস্যপদ পাওয়ার দাবিদার ছিলেন। কিন্তু, সেনা শেষ পর্যন্ত নারওয়েকরকে সেই দায়িত্ব দেয়নি। এরপরই তিনি জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টিতে যোগ দেন। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মাভাল লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থীও হয়েছিলেন। কিন্তু, এনসিপির টিকিটে জিততে পারেননি। এরপরই ২০১৯-এ রাহুল নারওয়েকরের জনপ্রতিনিধি হওয়ার বাসনা পূরণ হয় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর। প্রথমবারের জন্য বিধায়ক, তা-ও কোলাবা থেকে। আর, তারপরই সোজা বসলেন মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকারের আসনে।

তবে, এনসিপি ছাড়লেও নারওয়েকরের সঙ্গে এনসিপির একটা পারিবারিক সম্পর্ক আছে। তিনি প্রবীণ এনসিপি নেতা রামরাজে নিম্বলকরের জামাই। মহারাষ্ট্র বিধান পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান নিম্বলকর। শুধু তাই না। রাহুল নারওয়েকরের বাবা সুরেশ নারওয়েকর বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের প্রাক্তন কাউন্সিলর। দাদা মকরন্দও বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের দু'বারের কাউন্সিলর। বৌদি হর্ষতাও বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কাউন্সিলর। বিধানসভার স্পিকার হয়ে অবশ্য রাহুল তাঁদের সবাইকে ছাপিয়ে গেলেন।

Read full story in English

shiv sena Maharashtra ncp
Advertisment