ভোট ঘোষণা হতেই আসামে ধাক্কা খেল বিজেপি। এনডিএ জোট ছেড়ে বেরিয়ে গেল শরিক দল বড়োল্যান্ড পিপলস ফ্রন্ট বা বিপিএফ। শনিবারই বিপিএফের সুপ্রিমো হাগ্রামা মহিলারি জানিয়ে দিয়েছেন, এবারের নির্বাচনে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন মহাজোটে শামিল হচ্ছেন তাঁরা। আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়ালের মন্ত্রিসভায় তিন জন মন্ত্রী রয়েছে বিপিএফের। সেই জায়গায় বড়োল্যান্ডের এই শরিক দলের প্রস্থান নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা বিজেপির।
শনিবার হাগ্রামা জানিয়েছেন, "শান্তি-একতা এবং উন্নয়নয়ের জন্য চাই স্থায়ী সরকার। আসামে দুর্নীতিমুক্ত সরকার চাই। তাই বিপিএফ সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। বিজেপির সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মহাজোটের শরিক হয়ে লড়বে বিপিএফ।" বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে এই ঘোষণা করেছেন হাগ্রামা। তার এই সিদ্ধান্ততে স্বাগত জানিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ প্রদ্যুত বরদলুই। তিনি জানিয়েছেন, কংগ্রেস জোটই ক্ষমতায় আসছে এবং বিপিএফকে সঙ্গী হিসাবে পেয়ে গর্বিত।
তবে এর আগেই বিজেপি জানিয়ে দিয়েছিল, নির্বাচনে বিপিএফের সঙ্গে কোনও জোট রাখবে না তারা। বড়োল্যান্ড টেরিটোরিয়াল কাউন্সিলের নির্বাচনেই সম্পর্কে ফাটল ধরে দুই দলের। বিপিএফ ৪০টির মধ্যে ১৭টি আসন পেয়ে একক বৃহত্তম দল হলেও ১২টি আসন পাওয়া ইউপিপিএলের সঙ্গে জোট করে বড়োল্যান্ডে বোর্ড গঠন করে বিজেপি। তখন থেকেই বিপিএফের অসন্তোষ সামনে আসে।
প্রসঙ্গত, বিপিএফ আসামে ২০০৬ এবং ২০১১ সালে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারে শরিক ছিল। কিন্তু ২০১৪ সালে বিজেপির হাত ধরে তারা। এবার সাত বছর পর সেই সম্পর্ক ছিন্ন করে ফের পুরনো সঙ্গী কংগ্রেসের হাত ধরল বিপিএফ। এদিকে, বিহারের প্রধান বিরোধী দল আরজেডি আসামে মহাজোটে শামিল হয়েছে। তেজস্বী যাদব আসামে গিয়েছেন আসনরফা চূড়ান্ত করতে।