মধ্যপ্রদেশে তিনটি বিধানসভা এবং একটি লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে দারুণ ফল করেছে বিজেপি। তিনটির মধ্যে দুটি বিধানসভা আসন এবং লোকসভা আসন ধরে রেখেছে গেরুয়া শিবির। এই জয়ের ফলে উচ্ছ্বসিত পদ্মশিবিরের দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতা পি মুরলীধর রাও। কিন্তু উচ্ছ্বাসের বশে তিনি যে মন্তব্য করেছেন তা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। যার জন্য বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাকে ক্ষমা চাইতে বলেছে বিরোধী দল কংগ্রেস।
কী বলেছেন মুরলীধর?
ভোপালে দলের সদর কার্যালয়ে মুরলীধর সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, জোবাট কেন্দ্রে তফসিলি জাতি-উপজাতি ভোট ফের নিজেদের দিকে চানতে পেরেছে বিজেপি। যার জন্য ওই কেন্দ্রে জয় সহজেই এসেছে। এই প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, আমার পকেটে ব্রাহ্মণ আর বানিয়াদের (বণিক) ভোট রয়েছে। তাই চিন্তা ছিল না। তফসিলিদের ভোট পেয়ে যাওয়ায় জয় আটকানো যায়নি।
আদতে তিনি বলতে চেয়েছেন, ব্রাহ্মণ এবং বণিকদের ভোট নিয়ে দল চিন্তিত নয়। লক্ষ্য ছিল, আদিবাসীদের ভোট পদ্মের দিকে টানা। তাতে সফল হয়েছে বিজেপি। তিনি আরও বলেছেন, ভবিষ্যতে আমাদের লক্ষ্য হবে ৫০ শতাংশ ভোট পাওয়ার যাতে বুথ স্তরে একটা রোডম্যাপ তৈরি করা যাবে।
মুরলীধরের এই মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় বয়ে গিয়েছে। কংগ্রেসের দাবি, দুই সম্প্রদায়কে ছোট করার জন্য বিজেপি নেতাকে ক্ষমা চাইতে হবে। যদিও কংগ্রেসকে পাত্তা না দিয়ে মুরলীধরের দাবি, কংগ্রেস সস্তার রাজনীতির খেলছে। প্রসঙ্গত, দুই কেন্দ্রে বিজেপির যে প্রার্থী জিতেছেন তাঁরা কংগ্রেস-সপা থেকে বেরিয়ে এসে পদ্মশিবিরে যোগ দেন। দুবারের কংগ্রেস বিধায়ক সুলোচনা রাওয়াতকে জোবাট কেন্দ্রে এবং সমাজবাদী পার্টি ত্যাগ করা বিধায়ক শিশুপাল যাদবকে পৃথ্বীপুর আসনে দাঁড় করায় বিজেপি।
আরও পড়ুন রাফাল চুক্তি নিয়ে ফের বিব্রত মোদি সরকার! ফরাসি জার্নালও উসকে দিল দুর্নীতি
আর একটি কেন্দ্র খাণ্ডোয়াতে জয়ী বিধায়ক শচীন বিড়লাকে টিকিট দেয় বিজেপি। উপনির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপপিতে যোগ দেন। এই মুহূর্তে মধ্যপ্রদেশে শাসকদল বিজেপির কাছে ২৮ জন কংগ্রেস-সহ অন্য দলত্যাগী বিধায়ক রয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন