মহারাষ্ট্রের কোলাপুর থেকে বাংলার কলকাতা। শনিবার একসূত্রে বেঁধে দিল উপনির্বাচনের ফলাফল। সবজায়গাতেই বিরোধীদের জয়জয়কার। আর, খালি হাতে ফিরতে হল গেরুয়া শিবিরকে। এর মধ্যে কোলাপুর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রটি দখল করল কংগ্রেস। তাদের প্রার্থী জয়শ্রী যাদব ১৮ হাজার ভোটে হারালেন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির সত্যজিৎ কদমকে। জয়শ্রী পেয়েছেন ৯৬,১৭৬ ভোট। আর কদমের প্রাপ্ত ভোট ৭৭,৪২৬। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন কোলাপুর উত্তরের বিধায়ক চন্দ্রকান্ত যাদব। তাঁর মৃত্যুতেই শূন্য হয় আসনটি।
একই ছবি ধরা পড়ল ছত্তিশগড়েও। এখানকার রাজনন্দনগাঁও জেলার খইরাগড় বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী যশোদা ভার্মা। হারিয়েছেন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির কোমল জাংগেলকে ২০,১৭৬ ভোটে। যশোদা পেয়েছেন ৮৭,৮৭৯ ভোট। আর, বিজেপি প্রার্থী পেয়েছেন ৬৭,৭০৩ ভোট। খইরাগড় কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ দেবব্রত সিং। ২০২১ সালে তিনি মারা যাওয়ায় আসন শূন্য হয়।
বিহারের বোচাহান বিধানসভা আসনটি আবার ক্ষমতাসীন এনডিএর থেকে ছিনিয়ে নিল বিরোধী রাষ্ট্রীয় জনতা দল। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থীকে ৩৫ হাজারেরও বেশি ভোটে পরাজিত করেছেন আরজেডির অমর পাসওয়ান। তিনি পেয়েছেন ৮২,১১৬টি ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির বেবি কুমারী পেয়েছেন ৪৫,৩৫৩ ভোট। এই কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন মুসাফির পাসওয়ান। তিনি মারা যাওয়ায় আসনটি শূন্য হয়। তাঁর ছেলে অমর পাসওয়ানকে প্রার্থী করে আরজেডি।
আরও পড়ুন- ‘দি কাশ্মীর ফাইলস’ দেখানোয় বিপন্ন পণ্ডিতদের জীবন, অভিযোগ যশবন্তর
বিহারের বহিষ্কৃত মন্ত্রী মুকেশ সাহানির বিকাশশীল ইনসান পার্টি (ভিআইপি)-র হয়ে গত বিধানসভা নির্বাচনে জিতেছিলেন মুসাফির পাসওয়ান। ২০২০ সালের নির্বাচনে তৃতীয়বারের জন্য বিধায়ক হওয়ার পথে তিনি ২৯,৬৭১ ভোটে জয়ী হন। একমাস আগেও বিকাশশীল ইনসান পার্টি এনডিএর শরিক ছিল। বিজেপি বিরোধীদের জয়ের ধারা অব্যাহত রইল পশ্চিমবঙ্গেও। আসানসোল লোকসভা থেকে বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র, দু'টিতেই জয়ী হল তৃণমূল কংগ্রেস। এর মধ্যে আসানসোল বিজেপির থেকে ছিনিয়ে নিল ঘাসফুল শিবির।
Read story in English