নয়া দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদাম্বরম ও তাঁর পুত্র কার্তির সঙ্গে যুক্ত একাধিক সম্মত্তিতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। যা নিয়ে সরব দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, তল্লাশির সময় সিবিআই আধিকারিকরা তাঁকে একটি এফআইআরের কপি দেখিয়েছিলেন, কিন্তু তাতে অভিযুক্ত হিসাবে পি চিদাম্বরমের নাম ছিল না।
টুইটে পি চিদাম্বরম লিখেছেন, 'আজ সকালে, সিবিআইয়ের এক গোয়েন্দা দল চেন্নাইয়ে আমার বাড়ি এবং দিল্লিতে আমার সরকারি বাসভবনে তল্লাশি চালায়। গোয়েন্দারা আমাকে একটি এফআইআর দেখিয়েছেন যাতে আমার নাম অভিযুক্ত তালিকায় নেই। অনুসন্ধান দল কিছুই খুঁজে পায়নি এবং কিছুই বাজেয়াপ্ত করেনি। ' তাঁর সংযোজন, 'আমি শুধু উল্লেখ করতে পারি যে অনুসন্ধানের সময়টি আকর্ষণীয়।'
সূত্র জানাচ্ছে যে, এফআইআরের অভিযোগের ভিত্তিতে কার্তি চিনা কোম্পানিতে কর্মরত কিছু চিনা নাগরিকের ভিসার সুবিধার জন্য ৫০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছে। ওই অর্থ তাঁর অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে। বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, মুম্বই, চেন্নাই, ওড়িশা, পঞ্জাব এবং কর্ণাটকের মোট নয়টি জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
পাঞ্জাবে বিদ্যুৎ প্রকল্প তালওয়ান্দি সাবো পাওয়ার প্রজেক্ট, যার বাস্তবায়নের জন্য একটি চিনা কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি ছিল। সংস্থাটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দ্বারা নির্ধারিত সর্বোচ্চ সীমা ছাড়িয়ে কিছু কর্মচারীকে ভারতে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। ২০১১ সালে, সংস্থার তরফে কার্তির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। অভিযোগ, কার্তি চিদাম্বরম ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়ে ওই সংস্থার চিনা নাগরিকদের এ দেশের আসার ভিসা সহজতর করেছিলেন। একজন সিবিআই আধিকারিকের দাবি, 'তালওয়ান্দি সাবো পাওয়ার প্রজেক্ট হল একটি কয়লা-ভিত্তিক, সুপার-ক্রিটিকাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র যা পাঞ্জাবের মানসা জেলার বানাওয়ালা গ্রামে অবস্থিত। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বেদান্তের সহযোগী প্রতিষ্ঠান টিএসপিএল দ্বারা পরিচালিত হয়।'
মামলাটি ২০১৮ সালে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) দ্বারা সিবিআই-এর কাছে পাঠানো একটি রেফারেন্সের উপর ভিত্তি করে হয়েছিল। চিঠিতে দাবি করা হয়েছিল যে, আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে তদন্তের সময়, ঘুষ মামলাটির প্রমাণের অভাবে ধাক্কা খেয়েছিল। যখন পি চিদাম্বরম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন তখন ৩০০ জন চিনা নাগরিকের জন্য ভিসা সহজতর করার জন্য বেদান্ত গ্রুপ ৫০ লাখ টাকা কার্তিকে প্রস্তাব দিয়েছিল বলে খবর।
Read in English