দেশের যে দশটি রাজ্যে আন্তর্জাতিক সীমানা রয়েছে, সেই এলাকাগুলির উন্নয়ন খাতে ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্র। সরকারি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এসব জনবিচ্ছিন্ন এলাকায় যে নাগরিকরা বসবাস করছেন, তাঁদের সমস্যা দূর করতেই এই অর্থবরাদ্দ পরিকল্পনা।
২০১৭-১৮ আর্থিক বর্ষে আন্তর্জাতিক সীমানা সংলগ্ন ১৭টি রাজ্যে অবস্থিত গ্রামগুলির সার্বিক উন্নয়নের জন্য ১১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল কেন্দ্র। এই বরাদ্দ তার অতিরিক্ত বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন, নির্বাচনী কৌশল শিখতে ভিন রাজ্যে পাড়ি বিজেপি নেতা-কর্মীদের
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ২০১৮-১৯ আর্থিক বর্ষে জম্মু-কাশ্মীর, আসাম, হিমাচলপ্রদেশ, মণিপুর, অরুণাচলপ্রদেশ, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম এবং পশ্চিমবঙ্গের জন্য বিএডিপি (বর্ডার এরিয়া ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম)-র আওতায় ৩৯৯.৪৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
বিএডিপি-র আওতায় ১৭টি রাজ্যের ১১১টি সীমান্ত জেলা রয়েছে। আন্তর্জাতিক সীমানার ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারী নাগরিকদের বিশেষ উন্নয়নের জন্য বিএডিপি গঠিত। এই প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, বিদ্যালয়, যোগাযোগ, নিকাশি, পানীয় জল সরবরাহ, কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ থেকে শুরু করে সীমান্ত এলাকায় সুসংহত জীবনধারণের ব্যবস্থাগ্রহণ অন্তর্ভুক্ত।
এখন এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে স্বচ্ছতা অভিযান, স্কিল ডেভেলপমেন্ট, সীমান্ত এলাকায় ক্রীড়া উন্নয়ন, গ্রামীণ পর্যটনোন্নয়ন, সীমান্ত পর্যটন, হেরিটেজ সংরক্ষণ, পার্বত্য এলাকায়, সড়ক যোগাযোগহীন এলাকায় হেলিপ্যাড নির্মাণ।
আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কৃষিকাজের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া ছাড়াও, জৈবচাষও এখন বিএডিপি-র অন্তর্ভুক্ত বলে জানিয়েছেন এক আধিকারিক। সীমান্ত এলাকায় জীবনযাত্রায় মানোন্নয়নের জন্য বিএডিপি-র আওতায় ৬১টি আদর্শ গ্রাম তৈরি করা হচ্ছে বলেও জানা গেছে।
বিএডিপি শুরু হয়েছিল ১৯৮৬-৮৭ সালে। এ প্রকল্পের আওতায় এ পর্যন্ত বরাদ্দ করা হয়েছে ১৩, ৪০০ কোটি টাকা। ভারতের সঙ্গে পাকিস্তান (৩,২২৩ কিলোমিটার), চিন (৩,৪৮৮ কিলোমিটার), নেপাল (১,৭৫১ কিলোমিটার), ভূটান (৬৯৯ কিলোমিটার), মায়ানমার (১,৬৪৩ কিলোমিটার), এবং বাংলাদেশ (৪০৯৬ কিলোমিটার)-এর সীমান্ত রয়েছে।