গোবর রেডিয়েশন শুষে ফেলতে পারে। ক্ষতিকারক রেডিয়েশন থেকে যুব সমাজকে দূরে রাখার উদ্দেশে এবার রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগ (আরকেআ) এর সভাপতি বল্লভভাই কাঠারিয়া সোমবার এক বিশেষ প্ৰকার মোবাইল চিপ উন্মোচন করল। তাঁর দাবি, মোবাইল হ্যান্ডসেট থেকে ক্ষতিকারক তেজস্ক্রিয় রশ্মি অনেকটাই শুষে নেবে এই গোবর থেকে তৈরি চিপ।
কামধেনু দীপাবলি অভিযান-এর দেশজোড়া উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে এসে কাঠারিয়া জানান, "এটি একটি রেডিয়েশন চিপ। মোবাইলে এই চিপ লাগানো যেতে পারে। যদি মোবাইলে এই চিপ লাগিয়ে রাখা যায় তাহলে তেজস্ক্রিয় রেডিয়েশন বহুলাংশে কমানো সম্ভব হবে। শরীরে রোগ দূর করতে চাইলে এই চিপ সাহায্য করবে।"
গোবর থেকে তৈরি এই মোবাইল চিপের নামকরণ করা হয়েছে গোস্বত্ব কবচ।রাজকোটের শৃজি গৌশালা এই চিপ প্রস্তুত করেছে।
রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগ নামের এই সংগঠন গোটা দেশ জুড়ে গোবর থেকে তৈরি বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর প্রচার করে থাকে। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন দফতরের অধীনে নথিভুক্ত এই সংগঠন। ২০১৯ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি এই সংগঠন তৈরি করা হয়। এই সংগঠনের উদ্দেশ্যই হল, গরু ও বিভিন্ন গো দ্রব্যাদির সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা। ২০১৯-২০ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে এই সংগঠন তৈরির কথা ঘোষণা করা হয়।
এদিন কাঠারিয়া বলেন, "কিছুদিন আগেই শোনা গিয়েছিল অভিনেতা অক্ষয় কুমার গোবর খেয়ে থাকেন। এটা সবাই ওষুধ হিসেবে খেতে পারে। আমরা নিজেদের বিজ্ঞান ভুলেই গিয়েছি। আমরা একটা রিসার্চ প্রোজেক্ট খুলতে চলেছি। যেখানে দেশের মিথ, সংস্কৃতি নিয়ে গবেষণা করা হবে। "
গোবর থেকে তৈরি একাধিক প্রোডাক্ট প্রদর্শন করতে গিয়ে তিনি আরো জানান, "গোবর তেজস্ক্রিয় বিরোধী দ্রব্য। এটা সমস্ত ক্ষতিকর বস্তু থেকে আমাদের নিরাপত্তা দেয়। যদি কেউ নিজেদের বাড়িতে নিয়ে যায়, তাহলে বাড়ি রেডিয়েশন থেকে মুক্ত থাকবে। বিজ্ঞান দ্বারা সমস্ত কিছুই অনুমোদিত।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কাঠারিয়া বলেন, "দেশে ৫০০ র বেশি গৌশালা এমন রেডিয়েশন ফ্রি চিপ প্রস্তুত করছে। প্রতিটি চিপের দাম ৫০-১০০ টাকা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একজন এই চিপ রফতানি করছে। সেখানে প্রতি চিপের দাম ১০ মার্কিন ডলার।"
তাঁর আরো সংযোজন, "আমাদের লক্ষ্যই হল গোবরের তেজস্ক্রিয় বিরোধী বিষয়গুলি আরো জনপ্রিয় করা। মোবাইলের রেডিয়েশন থেকে এই চিপ আমাদের সুরক্ষা যোগাবে। এগুলো সরকারের দ্বারা সংশয়িত নয়, তবে পরীক্ষিত। যে কোনো ল্যাবে গিয়ে নতুন করে টেস্ট করানো যেতে পারে।"
রেডিয়েশন চিপের পাশাপাশি কাঠারিয়া আরো অনেক জিনিস সর্বসমক্ষে নিয়ে এলেন- মাটির তৈরি ল্যাম্প, মোমবাতি, ধূপ, পেপারওয়েট, ঈশ্বরের বিভিন্ন প্রতিকৃতি। কাঠারিয়া জানালেন, আসন্ন দিওয়ালিতে ১১ কোটি বাড়িতে গোবর দিয়ে তৈরি ৩৩ কোটি মোমবাতি জ্বালানোই লক্ষ্যমাত্রা রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের।
Read the full article in ENGLISH
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন