পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে দলের বিপর্যয় এবং পরবর্তী অবস্থান ঠিক করতে রবিবার বৈঠক করল কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি। সদ্যসমাপ্ত এই পাঁচ রাজ্যেই কংগ্রেসের নেতৃত্বে বড় ভূমিকা নিতে দেখা গিয়েছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে। কিন্তু, ভোটের ফল বলছে, সেই নেতৃত্ব তেমন একটা কাজে দেয়নি। দলের নেতাদের একাংশের ধারণা, মজবুত নেতৃত্ব থাকলে এই ভোটের ফলই অন্যরকম হত।
দীর্ঘদিন ধরেই কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী অসুস্থ। ফলে, তিনি আর আগের মত কংগ্রেসের দেখভাল করতে পারেন না। তাঁর সামনে এসে নেতৃত্ব দেওয়াও আগের চেয়ে অনেক কমে গিয়েছে। এসব কথা মাথায় রেখে ভবিষ্যতের নেতা রাহুল গান্ধীর হাতেই অবিলম্বে দলের রাশ তুলে দেওয়ার পক্ষপাতী কংগ্রেস নেতাদের একাংশ। রবিবার দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকেও তাই রাহুল গান্ধীর হয়ে সুর চড়ালেন কংগ্রেস নেতারা। পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে, সেই সুর আগের বৈঠকগুলোর চেয়ে ছিল অনেক বেশি জোরালো।
বৈঠকে রাহুলের হয়ে জোরালো সওয়াল করতে শোনা গেল প্রবীণ নেতা তথা কংগ্রেসশাসিত রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে। তিনি স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন, গান্ধী পরিবার-নির্ভর কংগ্রেসের নেতৃত্বে এই মুহূর্তে রাহুলকেই চাই। আর, সেটা রাহুল নিজের কাজের মাধ্যমেই বুঝিয়ে দিয়েছেন কেন তিনি দলের কাছে প্রয়োজনীয়। গেহলট জানান, জাতীয় রাজনীতিতে ইদানিংকালে রাহুল গান্ধীর মত আর কোনও নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এত বেশি সমালোচনা করেননি।
আরও পড়ুন- বাঙালি বিজ্ঞানীর হাত ধরেই মহাকাশ থেকে তোলা ছবির দরকার কমল
আর, প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেস বলতে মোদীও যে রাহুলকেই মাথায় রাখেন, তা-ও বারবার স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতাই শুরু করতে রাহুলকে নিশানা করেন। যার অর্থ বুঝতে কারও বাকি থাকার কথা নয় বলেই জানান গেহলট। শুধু পাঁচ রাজ্যে দলের মুখ থুবড়ে পড়াই নয়। বৈঠকে এই পাঁচ রাজ্যে দলের আগামী কর্মসূচি, কীভাবে সংগঠন দৃঢ় করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হল রবিবার। পাশাপাশি, সোমবার থেকেই শুরু হতে চলেছে সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয়াংশ। সেখানে ইউপিএ পরবর্তী অধ্যায়ে দলের অবস্থান প্রসঙ্গও উঠে এল রবিবারের বৈঠকে।
Read story in English