ভোট দেওয়া একটি অধিকার, কর্তব্য নয়। মনে করেন কেন্দ্রীয় আইন ও বিচার প্রতিমন্ত্রী এস পি সিং বাঘেল। শুক্রবার বাঘেল বলেছেন যে, 'বাধ্যতামূলক ভোট দেওয়ার ধারণা গণতন্ত্রের নীতির বিরুদ্ধ।'
২০১৯ সালে বিজেপি সদস্য জনার্ধন সিং 'সিগ্রিওয়াল' দ্বারা উত্থাপিত বাধ্যতামূলক ভোটিং বিলের বিতর্কের জবাবে বাঘেল জানিয়েছেন, মানুষ যদি ভোট দিতে আগ্রহী না হয় তবে তাঁদের তা দিতে বাধ্য করা যাবে না।
বাঘেল উল্লেখ করেছেন যে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে ভোটদান বাধ্যতামূলক করার একটি প্রস্তাব পাস হয়েছিল, কিন্তু হাইকোর্ট তাতে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। কেন্দ্রীয় আইন ও বিচার প্রতিমন্ত্রীর কথায়, 'বাধ্যতামূলক ভোটদানের বিষয়ের পক্ষে যা বলা হচ্ছে তাঁর সঙ্গে আমি একমত, তবে ভোটাধিকার প্রয়োগ না করার জন্য শাস্তি দেওয়ার ভাবনা বাস্তবসম্মত নয়।'
বাঘেল বলেছিলেন যে, 'ফিলিপাইন, স্পেন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, উরুগুয়ে, ভেনিজুয়েলা, বুলগেরিয়া এবং চিলি সহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ বাধ্যতামূলক ভোটদানের অনুশীলন চেষ্টা করেছিল কিন্তু তারা শীঘ্রই বুঝতে পেরেছিল যে এই নিয়ম বৈষম্যমূলক হচ্ছে। যা আরও ক্ষতিকারক হবে।'
তার বক্তৃতার সময়, বাঘেল কংগ্রেস পার্টিকে আক্রমণ করে বলেন যে, 'বাদ্যতামূলক ভোটদান ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের আকৃষ্ট করে না। তিনি বলেছিলেন যে ২০০৯ সালের তুলনায় ২০১৪ সালে ভোট৮.৪ শতাংশ বেড়েছে। কারণ ভোটাররা নরেন্দ্র মোদীকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চেয়েছিলেন'
মন্ত্রীর সংযোজন, গত লোকসভা নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি সর্বকালের সর্বোচ্চ। ভোট পড়েছিল ৬৬.১১ শতাংশ।
সিগ্রিওয়ালকে বিলটি প্রত্যাহার করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বাঘেল বলেন যে, '২০০৪ সালে বি এস রাওয়াত এবং2009 সালে জে পি আগরওয়ালও এই জাতীয় একটি ব্যক্তিগত সদস্য বিল পেশ করেছিলেন, কিন্তু সেটা পরে প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন।' এরপর সিগ্রিওয়াল বিলটি প্রত্যাহার করে নেন। বিলটিতে যোগ্য অথচ ভোটদানে অংশ না নেওয়া ভোটারদের একটি তালিকা বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছিল।