শিয়রে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বারাণসীতে গুরুত্বপূর্ণ প্রাক-নির্বাচন বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোটের আগে নেতৃত্বকে সঙ্গে রণকৌশল নির্ধারণ করলেন মোদীর সেনাপতি। সাংগঠনিক স্তরের এই বৈঠকে ৪০৩টি বিধানসভা আসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা, জেলা ও মণ্ডল সভাপতি হাজির ছিলেন।
বৈঠকে দলীয় নেতা-কর্মীদের চাঙ্গা করতে শাহের ভোকাল টনিক, উত্তরপ্রদেশে এবারের নির্বাচনে অপরাজেয় হবে বিজেপি। কংগ্রেস, সপা, বসপা-সহ কোনও বিরোধী শক্তি বিজেপিকে হারাতে পারবে না বলে দাবি করলেন শাহ। সূত্রের খবর, বৈঠকে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা, মাফিয়াদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ, অতিমারিতে স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নত করা সবই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ অত্যন্ত দায়িত্ব সহকারে পালন করেছেন বলে দাবি শাহের।
সূত্রের খবর, বৈঠকে শাহ বলেছেন, ২০২২ উত্তরপ্রদেশ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে। তাঁর মতে, উত্তরপ্রদেশের দিকে গোটা দেশের নজর থাকবে। চব্বিশের লোকসভা ভোটে দিল্লির মসনদের পথ সুগম করবে এই বিধানসভা নির্বাচন। ২০১৭ সালে বিজেপি এবং শরিক দলগুলি মিলিত ভাবে ৩২৫টি আসনে জয়ী হয়। শুক্রবার শাহ পার্টি নেতৃত্বকে নির্দেশ দিয়েছেন, এবার আরও বড় জয় চাই।
দলের এক নেতা দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, "এই বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল ভোটের আগে রাজ্যের সাংগঠনিক শক্তিকে আরও মজবুত করা। বিশেষত বুথ স্তরে। আমাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রত্যেক বুথে ১০০ জন করে নয়া সদস্য সংগ্রহ করতে হবে এবং প্রথমবারের ভোটারদের সঙ্গে জনসংযোগ করতে হবে।"
আরও পড়ুন তৃণমূলের নজরে গোয়া, ঘাস-ফুলের টিকিটে রাজ্যসভায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী
সূত্রের খবর, এদিন বৈঠকে প্রত্যেক বিধানসভা আসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন শাহ। তাঁদের মতামত নেন সাংগঠনিক শক্তিবৃদ্ধির লক্ষ্যে। তিনি সমস্ত দলীয় নেতাদের নির্দেশ দেন, কর্মীদের সাংগঠনিক কাজকর্ম বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য। বৈঠকে শাহ সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবকে নিশানা করেন। সম্প্রতি মহম্মদ আলি জিন্না নিয়ে অখিলেশের মন্তব্য ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন