আগেও বহুবার হাইকমান্ডের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। শনিবার ফের শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত নিয়ে সরব হলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল। দীর্ঘদিনের সতীর্থ গুলাম নবী আজাদের অবদান এবং শীর্ষ নেতৃত্বের অবহেলা নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যসভার সাংসদ। জম্মুতে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের শান্তি সম্মেলনে সাফ জানালেন, দল আজাদের অভিজ্ঞতার মূল্য দেয়নি। নিচুতলার কর্মীদের সঙ্গে জনসংযোগ মজবুত করার লক্ষ্যে কংগ্রেসের জি-২৩ নেতাদের এই সম্মেলনে সিব্বলের খোঁচায় অস্বস্তি বেড়েছে হাইকমান্ডের।
সিব্বল এদিন বলেন, গুলাম নবী আজাদের মতো এত প্রবীণ এবং পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদের সংসদীয় গণতন্ত্র থেকে বিদায় নেওয়ার সিদ্ধান্তকে দল সম্মতি জানানোয় তিনি যারপরনাই অবাক হয়েছেন। কংগ্রেস তাঁর অভিজ্ঞতাকে আরও কেন কাজে লাগাতে চাইছে না, তা নিয়ে হতাশ সিব্বল। তিনি এদিন বলেছেন, "আজাদ এমন একজন নেতা যিনি বাস্তবের মাটিতে দলের কী অবস্থা প্রত্যেক রাজ্যে তা সবচেয়ে ভাল জানেন। আমরা খুবই ব্যথিত যখন জানলাম, তাঁকে সংসদীয় রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আমরা কখনওই চাইনি উনি সংসদ থেকে চলে যান। বুঝতে পারছি না, দল কেন তাঁকে ব্যবহার করছে না? তাঁর এতদিনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাচ্ছে না?"
গুলাম নবীকে বিমানের ইঞ্জিনিয়ার আখ্যা দিয়ে সিব্বল বলেছেন, "গুলাম নবী সাহেবের ভূমিকা কী, যিনি বিমান ওড়ান তিনি একজন দক্ষ মানুষ। কিন্তু একজন ইঞ্জিনিয়ার তাঁর সঙ্গে থেকে বিমানের মেরামতি করে তাকে সচল রাখে। গুলাম নবীজি সেই ইঞ্জিনিয়ারের মতো অভিজ্ঞ। এটা সত্যি যে আমরা দেখতে পাচ্ছি, কংগ্রেস দুর্বল হয়েছে অনেক। সেটা ঠিক করতেই আজ আমরা এখানে একত্রিত হয়েছি। এর আগেও আমরা একত্রে এসে দলকে মজবুত করেছি।"
এদিনের সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ আনন্দ শর্মা, মনীশ তিওয়ারি, রাজ বব্বর, ভুপিন্দর হুডার মতো শীর্ষ নেতা। প্রসঙ্গত, এর আগেও দলের শীর্ষ নেতৃত্বের উপর ক্ষোভ জানিয়ে কার্যকরী সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে খোলা চিঠি দিয়েছিলেন সিব্বলরা।