এমনটা হওয়ারই পূর্বাভাস ছিল। হাইকম্যান্ডের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়ে পদত্যাগ করার মাশুল দিতে হল ক্যাপ্টেনকে। পাঞ্জাবের নতুন মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নির মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়ছেন অমরিন্দর ঘনিষ্ঠ বিধায়করা। হাইকম্যান্ডের সিলমোহর পড়েছে নয়া মন্ত্রিসভার তালিকায়। আগামিকালই রাজভবনে শপথ নেবে নয়া মন্ত্রিসভা। কিন্তু এসবের মধ্যে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোত সিং সিধুরই কলকাঠি দেখছে রাজনৈতিক মহল।
শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত নয়া মন্ত্রিসভা চূড়ান্ত করেছে এআইসিসি। রাহুল গান্ধির নেতৃত্বে বৈঠকে তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে। তারপর সেই তালিকা রাজ্যপাল বনওয়ারি লাল পুরোহিতের কাছে পাঠিয়েছেন চান্নি। রবিবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ রাজভবনে ১৫ জন মন্ত্রি শপথ নেবেন। সূত্রের খবর, ক্য়াপ্টেনের মন্ত্রিসভার পাঁচ সদস্য বাদ পড়ছেন। তার বদলে সাতদন বিধায়ক ঢুকছেন। মনে করা হচ্ছে, সিধু ঘনিষ্ঠ এই বিধায়করা।
গতকালের বৈঠকে কে সি বেণুগোপাল, হরিশ রাওয়াত, হরিশ চৌধুরি এবং অজয় মাকেন উপস্থিত ছিলেন। প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলবীর সিধু, রেভেনিউ মন্ত্রী গুরপ্রীত সিং কাঙ্গার, শিল্পমন্ত্রী সুন্দর শাম আরোরা, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী সাধু সিং ধরমসোত এবং ক্রীড়ামন্ত্রী রানা গুরমিত সিং সোধিকে বাদ দেওয়ার বিষয়ে সিলমোহর দেয় হাইকম্যান্ড। সিধুর পছন্দে রাজ্য নেতৃত্বের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা তিনজনকে মন্ত্রিসভায় নেওয়া হচ্ছে। যদিও দুজনের বিষয়ে চান্নি আপত্তি তোলেন, কারণ তাঁরা দলের গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক পদে রয়েছেন। তবে সেই আপত্তি ধোপে টেকেনি।
আরও পড়ুন পাঞ্জাব দখলে ক্যাপটেনই হাতিয়ার বিজেপির, চর্চায় অমরিন্দরের পদ্ম যোগ
এক বিধায়ক বলেছেন, তালিকা চূড়ান্ত করার জন্য সনিয়া গান্ধির কাছে পাঠানো হয়েছে। তাঁর সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় রয়েছে দল। আশায় রয়েছেন সবাই, কারণ কংগ্রেসে শেষ মিনিটে অনেক কিছু বদলে যায়। কেউ বলতে পারে না। শুক্রবার রাতে দিল্লি থেকে ফেরার পর ফের তাঁকে রাজধানীতে তলব করে হাইকম্যান্ড। কিন্তু দুবারই সিধুকে ডাকেনি শীর্ষ নেতৃত্ব। ক্যাপ্টেন ঘনিষ্ঠ পাঁচ বিধায়ককে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়ার জন্যই হয়তো চান্নিকে ফের তলব করে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড, মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন