একরাশ অবাস্তব প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে মোদী সরকার। ২০১৪ সালে যে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসা যাবে তা কস্মিনকালেও ভাবেনি বিজেপি। কী ভাবছেন, এসব উক্তিগুলি নিশ্চই কংগ্রেস বা অন্য কোনও বিরোধী দলের? আজ্ঞে না, এমন মন্তব্য করেছেন খোদ মোদী ক্যাবিনেটের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তথা সঙ্ঘ পরিবারের ঘরের ছেলে নীতিন গড়কড়ি! আর গড়কড়ির এমন অপ্রত্যাশিত বেফাঁস মন্তব্যকে লুফে নিয়েছে কংগ্রেস। শ্লেষের সঙ্গে তাদের প্রতিক্রিয়া, "আপনি ঠিক বলেছেন গড়কড়ি, মোদী সরকার তো মিথ্যা প্রতিশ্রুতির উপরই দাঁড়িয়ে রয়েছে।"
কিন্তু কোথায় এমন মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহনমন্ত্রী? একটি মারাঠি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়েই এমন মন্তব্য করেছেন নীতিন গড়কড়ি। ওই টিভি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা নানা পাটেকরও। আর সেখানেই দুঁদে রাজনীতিক গড়কড়ি হাসতে হাসতে বলেন, "আমরা নিশ্চিত ছিলাম যে কোনওভাবেই ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসা যাবে না। এমন সময় দলেরই কিছু লোক বলেন, আমরা অস্বাভাবিক প্রতিশ্রুতির রাস্তায় হাঁটব। তাদের যুক্তি ছিল, ক্ষমতায় তো আমরা আসছিই না, ফলে ওইসব প্রতিশ্রুতি রক্ষার দায়বদ্ধতাও আমাদের নেই। কিন্তু, এখন দেশবাসী আমাদের সে সব প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করিয়ে দেন...আর আমরা মনে মনে হাসি এবং এড়িয়ে যাই।" এখানেই না থেমে মন্ত্রীমশাই আরও বলেন যে তাঁর দলকে স্বচ্ছ ও খোলামেলা হতে হবে।
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে মোদী সরকারের অতি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর এমন মন্তব্যে কার্যত হাতে চাঁদ পেয়েছে কংগ্রেস। সাক্ষাৎকারের ফুটেজ হাতে পেতেই তা টুইট করে কংগ্রেস জানায়, "নীতিন গড়কড়ি আমাদের সঙ্গে সহমত হয়েছেন দেখে খুব ভাল লাগছে। কারণ, আমরা তো এতদিন ধরে বলতাম যে মোদী সরকার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ও মন ভোলানো কথার জোরেই ক্ষমতায় এসেছে।" এরপরই খোদ কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও ওই ভিডিওটি টুইট করেন। তিনি লিখেছেন, "আপনি ঠিক বলেছেন (গড়কড়ি)। মানুষও মনে করে যে তাদের স্বপ্ন ও বিশ্বাসকে পুঁজি করেই ক্ষমতায় এসেছে মোদী সরকার।"
উল্লেখ্য, চলতি বছর অগাস্টে মারাঠা বিক্ষোভের সময় চাকরিতে সংরক্ষণ নিয়ে মুখ খুলে বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছিলেন গড়কড়ি। তিনি বলেছিলেন, সরকারের দেওয়ার মতো চাকরিই নেই, সেক্ষেত্রে সংরক্ষণের কথা আসছে কোথা থেকে? সে যাত্রায় বিতর্ক থেকে কোনও রকমে নিস্তার মিললেও, এবার যে গড়কড়ির কী হবে তা ভেবে পাচ্ছে না রাজনৈতিক মহল।
এই খবরটি ইংরেজিতে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
"নিশ্চিত ছিলাম ২০১৪-তে ক্ষমতায় আসব না, তাই অবাস্তব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম"
এমন মন্তব্য করেছেন খোদ মোদী ক্যাবিনেটের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তথা সঙ্ঘ পরিবারের ঘরের ছেলে নীতিন গড়কড়ি! আর গড়কড়ির এমন অপ্রত্যাশিত বেফাঁস মন্তব্যকে লুফে নিয়েছে কংগ্রেস।
Follow Us
একরাশ অবাস্তব প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে মোদী সরকার। ২০১৪ সালে যে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসা যাবে তা কস্মিনকালেও ভাবেনি বিজেপি। কী ভাবছেন, এসব উক্তিগুলি নিশ্চই কংগ্রেস বা অন্য কোনও বিরোধী দলের? আজ্ঞে না, এমন মন্তব্য করেছেন খোদ মোদী ক্যাবিনেটের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তথা সঙ্ঘ পরিবারের ঘরের ছেলে নীতিন গড়কড়ি! আর গড়কড়ির এমন অপ্রত্যাশিত বেফাঁস মন্তব্যকে লুফে নিয়েছে কংগ্রেস। শ্লেষের সঙ্গে তাদের প্রতিক্রিয়া, "আপনি ঠিক বলেছেন গড়কড়ি, মোদী সরকার তো মিথ্যা প্রতিশ্রুতির উপরই দাঁড়িয়ে রয়েছে।"
কিন্তু কোথায় এমন মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহনমন্ত্রী? একটি মারাঠি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়েই এমন মন্তব্য করেছেন নীতিন গড়কড়ি। ওই টিভি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা নানা পাটেকরও। আর সেখানেই দুঁদে রাজনীতিক গড়কড়ি হাসতে হাসতে বলেন, "আমরা নিশ্চিত ছিলাম যে কোনওভাবেই ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসা যাবে না। এমন সময় দলেরই কিছু লোক বলেন, আমরা অস্বাভাবিক প্রতিশ্রুতির রাস্তায় হাঁটব। তাদের যুক্তি ছিল, ক্ষমতায় তো আমরা আসছিই না, ফলে ওইসব প্রতিশ্রুতি রক্ষার দায়বদ্ধতাও আমাদের নেই। কিন্তু, এখন দেশবাসী আমাদের সে সব প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করিয়ে দেন...আর আমরা মনে মনে হাসি এবং এড়িয়ে যাই।" এখানেই না থেমে মন্ত্রীমশাই আরও বলেন যে তাঁর দলকে স্বচ্ছ ও খোলামেলা হতে হবে।
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে মোদী সরকারের অতি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর এমন মন্তব্যে কার্যত হাতে চাঁদ পেয়েছে কংগ্রেস। সাক্ষাৎকারের ফুটেজ হাতে পেতেই তা টুইট করে কংগ্রেস জানায়, "নীতিন গড়কড়ি আমাদের সঙ্গে সহমত হয়েছেন দেখে খুব ভাল লাগছে। কারণ, আমরা তো এতদিন ধরে বলতাম যে মোদী সরকার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ও মন ভোলানো কথার জোরেই ক্ষমতায় এসেছে।" এরপরই খোদ কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও ওই ভিডিওটি টুইট করেন। তিনি লিখেছেন, "আপনি ঠিক বলেছেন (গড়কড়ি)। মানুষও মনে করে যে তাদের স্বপ্ন ও বিশ্বাসকে পুঁজি করেই ক্ষমতায় এসেছে মোদী সরকার।"
উল্লেখ্য, চলতি বছর অগাস্টে মারাঠা বিক্ষোভের সময় চাকরিতে সংরক্ষণ নিয়ে মুখ খুলে বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছিলেন গড়কড়ি। তিনি বলেছিলেন, সরকারের দেওয়ার মতো চাকরিই নেই, সেক্ষেত্রে সংরক্ষণের কথা আসছে কোথা থেকে? সে যাত্রায় বিতর্ক থেকে কোনও রকমে নিস্তার মিললেও, এবার যে গড়কড়ির কী হবে তা ভেবে পাচ্ছে না রাজনৈতিক মহল।
এই খবরটি ইংরেজিতে পড়তে এখানে ক্লিক করুন