কংগ্রেস সভাপতি পদের নির্বাচন শুরু। সোমবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ বিকেল ৪টেয়। থারুর না খাড়গে, কে হবেন শতাব্দী প্রাচীন দলটির পরবর্তী সভাপতি? সম্ভবত তা পরিষ্কার হয়ে যাবে আগামী ১৯ তারিখ। ওই দিনই হতে পারে ভোট গণনা। দেশজুড়ে প্রদেশ কংগ্রেস কমিটিগুলির প্রতিনিধিরা সংশ্লিষ্ট দলীয় কার্যালয়গুলিতে দলের পরবর্তী সভাপতি বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছেন।
কংগ্রেস সভাপতি পদে লড়াইয়ে নামা মল্লিকার্জুন খাড়গেকে গান্ধী পরিবারের আস্থাভাজন হিসেবেই দেখছে ওয়াকিবহাল মহল। কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতাদের অধিকাংশই বাজি ধরেছেন খাড়গের পক্ষে। মল্লিকার্জুন খাড়গের মতো সিনিয়র নেতাই কংগ্রেসের মতো দলকে যোগ্য নেতৃত্ব দিতে পারবেন বলে আশাবাদী দলের পুরনো নেতাদের একটি বড় অংশ। থারুরকে তাঁরা 'এলিট ক্লাসের' প্রার্থী হিসেবেই দেখছেন।
শশী থারুরের পক্ষে রয়েছেন মূলত দলের নবীন প্রজন্মের বড় অংশ। থারুরও নিজেকে 'পরিবর্তনের প্রার্থী' হিসেবে তুলে ধরেই এতদিন প্রচার সেরেছেন। আজ তাঁর 'অগ্নিপরীক্ষা'। কংগ্রেসের ইতিহাসে ষষ্ঠবার নির্বাচন করে দলের সভাপতি খোঁজার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আগে থেকেই থারুর ও খাড়গে দু'জনেই দেশজুড়ে প্রচার চালিয়েছেন। রাজ্যে-রাজ্যে গিয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন- সংঘের ঘরের মাঠে ভরাডুবি বিজেপির, পঞ্চায়েত সমিতির ভোটে ঝড় কংগ্রেসের
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মল্লিকার্জুন খাড়গে এর আগে বলেছিলেন, ''সোনিয়া গান্ধীই কংগ্রেসের 'কি-প্লেয়ার'। গান্ধীদের নির্দেশনা এবং পরামর্শ ছাড়া দল কাজ করতে পারে না।'' এরই পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছিলেন, উদয়পুরের চিন্তন শিবিরে ঘোষিত সাংগঠনিক সংস্কারগুলি বাস্তবায়ন করাই তাঁর লক্ষ্য।
অন্যদিকে, থারুরের অভিযোগ ছিল যে দলের সভাপতি পদের নির্বাচনে দাঁড়ানোর পর যে 'সুবিধা' খাড়গে পেয়েছেন, তা তিনি পাননি। একাধিক রাজ্যের কংগ্রেস সভাপতিরাই তাঁর সফরের সময় হাজির ছিলেন না বলে অভিযোগ থারুরের। তবে খাড়গে যেদিন ওই রাজ্যগুলিতে গিয়েছিলেন, সেদিন তাঁরা তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন বলেও দাবি থারুরের।