খোদ সোনিয়া-রাহুলের আবেদন-নিবেদন কানেই তোলেননি তিনি, তবে এবার কংগ্রেসের সভাপতি পদের নির্বাচনে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ খাড়গের হয়ে ব্যাট ধরলেন অশোক গেহলট। শশী থারুরের চেয়ে কংগ্রেস সভাপতি পদে মল্লিকার্জুন খাড়গেই 'বেস্ট চয়েস', থারুরকে এলিট ক্লাসের নেতা বলেও টিপ্পনি গেহলটের।
Advertisment
এদিন তিনি বলেন, ''খাড়গের দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি ভালো মনের মানুষ। এছাড়া তিনি দলিত সম্প্রদায় থেকেও এসেছেন। খাড়গেকে সবাই স্বাগত জানাচ্ছেন। তবে থারুরও একজন ভালো মানুষ। ভালো চিন্তাভাবনা রয়েছে ওঁরও। কিন্তু তিনি অভিজাত শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব করেন।''
এদিকে, দলের সভাপতি পদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমে ইতিমধ্যেই জোরদার প্রচার শুরু করে দিয়েছেন কেরলের সাংসদ থারুর। নাগপুরে দীক্ষাভূমিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে রবিবার কংগ্রেস সভাপতি পদের নির্বাচনের জন্য প্রচার শুরু থারুরের। এখানেই বিআর আম্বেদকর ১৯৫৬ সালে তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে নিয়ে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মহসিনা কিদওয়াই, সইফুদ্দিন সোজ ও চারজন কংগ্রেস সাংসদের সঙ্গে জি-২৩ গোষ্ঠীর নেতা সন্দীপ দীক্ষিতও থারুরের সমর্থনে মনোনয়ন পত্রে সই করেছেন। এদিন ওয়ার্ধায় মহাত্মা গান্ধীর সেবাগ্রাম আশ্রম এবং পাভনারে বিনোবা ভাবের আশ্রম পরিদর্শন কর্মসূচি থারুরের।
অন্যদিকে, দলের সভাপতি পদের নির্বাচনে থারুরের প্রতিদ্বন্দ্বী মল্লিকার্জুন খাড়গে গান্ধী জয়ন্তীর দিনটি কাটালেন দিল্লিতেই। এদিন রাজধানীর কেরালা হাউসে এ কে অ্যান্টনি-সহ দলের অন্য কয়েকজন নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন খাড়গে।
উল্লেখ্য, কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের জন্য সব মনোনয়ন জমার একদিন পরে ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মন্ত্রী কে এন ত্রিপাঠির মনোনয়ন খারিজ হয়। তারপরেই অভিজ্ঞ খাড়গে এবং থারুরের মধ্যে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মঞ্চ তৈরি হয়। মনোনয়ন পত্রে সই-জনিত সমস্যা থাকায় তাঁর মনোনয়নটি বাতিল হয় বলে জানা গিয়েছে।