সুপ্রিমকোর্টে জাকিয়া জাফরি মামলায় তিন দিন পর দলের অবস্থান স্পষ্ট করল কংগ্রেস। জানাল, এই রায় হতাশাজনক। জাকিয়া জাফরির পরিবারের পাশে আছে দল। ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গায় খুন হয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ এহসান জাফরি। সেই দাঙ্গার মামলায় কেন নরেন্দ্র মোদীকে বিশেষ তদন্তকারী দল যাবতীয় অভিযোগ থেকে ছাড় দিল, সেই প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন জাকিয়া। কিন্তু, আদালতে জাকিয়ার বক্তব্য ধোপে টেকেনি।
বিশেষ তদন্তকারী দল জানিয়েছে গুজরাট দাঙ্গার পিছনে কোন 'বৃহত্তর ষড়যন্ত্র' ছিল না। এই বিশেষ তদন্তকারী দলকে নিয়োগ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার ওই মামলায় শীর্ষ আদালতও সিটের বক্তব্যের সঙ্গে একমত হয়েছে। আদালত মনে করেছে, গুজরাট দাঙ্গার পিছনে কোনও বৃহত্তর ষড়যন্ত্র ছিল না। সতর্কভাবেই তিন দিন পর এই রায় নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাল কংগ্রেস।
যখন গুজরাট দাঙ্গা হয় সেই সময়ে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি এই দাঙ্গার দায় এড়াতে পারেন না এমনটাই অভিযোগ ছিল জাকিয়া জাফরির। কিন্তু আদালত সেই অভিযোগ মানতে চায়নি। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিরোধী দলগুলোকে তুলোধোনা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, যে বিরোধীরা এবং কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মিলে গুজরাট দাঙ্গার ঘটনায় বিজেপিকে বদনাম করার চেষ্টা করেছিল। যা আদালতে শেষ পর্যন্ত মিথ্যা প্রমাণিত হল।
আরও পড়ুন- মুসলিম-যাদব ভোটব্যাংকে ফাটল ধরিয়েছে দল, রামপুর ও আজমগড় জয়ের পর দাবি বিজেপির
সেই সময় অবশ্য শাহর বক্তব্যের বিরোধিতা করেছিল কংগ্রেস। দলের তরফে আইনজীবী তথা মুখপাত্র অভিষেক মনু সিংভি বলেছিলেন যে সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। প্রত্যেকের উচিত আদালতের রায়কে সম্মান জানানো। সেই অবস্থান থেকে কিছুটা সরে এসে এবার কংগ্রেস জানালো যে তারা শুক্রবারের রায়ে অত্যন্ত হতাশ। অনেক মৌলিক প্রশ্নগুলোর উত্তর এখনও মেলেনি।
কংগ্রেসের তরফে জয়রাম রমেশ প্রশ্ন তোলেন, ' মোদী যদি দায়মুক্ত হন তাহলে এটাও প্রশ্ন উঠছে যে একজন মুখ্যমন্ত্রীর সাংবিধানিক এবং নৈতিক ভূমিকা কী হওয়া উচিত? বিশেষ করে এরকম একটা বড় আকারের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময়? যদি এই দাঙ্গার ক্ষেত্রে ডেপুটি কমিশনার, জেলাশাসক-সহ সমস্ত শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকরা দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রী কি দায় এড়াতে পারেন? তাঁর মন্ত্রিসভা কি দায় এড়াতে পারে?'
Read full story in English