হতে পারেন তিনি আদিবাসী নেত্রী। কিন্তু, দ্রৌপদী মুর্মু ভারতের নেতিবাচক দর্শনের প্রতিনিধি। মঙ্গলবার এই ভাষাতেই এনডিএর রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীকে আক্রমণ করলেন কংগ্রেস নেতা অজয় কুমার। কড়া জবাব দিতে ছাড়েনি বিজেপিও। ঢাল হিসেবে দ্রৌপদীর আদিবাসী পরিচয়কে সামনে এনেছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। বিজেপি মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, 'এভাবেই কংগ্রেস দেশের প্রথম মহিলা আদিবাসী রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীকে আক্রমণ করছে।'
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রচারে ঘুরছেন দ্রৌপদী মুর্মু। ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। তার আগে বহু রাজ্যতেই ভোটের সরঞ্জাম নিয়ে কেন্দ্রীয় ভোটকর্মীরা পৌঁছে গিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বিরোধী শিবির কার্যত ম্রিয়মাণ। বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যশবন্ত সিনহার পক্ষে সেভাবে সমর্থন নেই। এমনকী, বিরোধীদের অনেকেও দ্রৌপদী মুর্মুর আদিবাসী পরিচয়ের জন্য তাঁকে রাষ্ট্রপতি পদে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। একইসঙ্গে অবশ্য বিরোধিতার রাজনীতি টিকিয়ে রেখে ওই সব বিরোধীরা একথাও জানিয়ে দিয়েছেন, দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করা মানেই বিজেপিকে সমর্থন করা নয়।
আরও পড়ুন- এনডিএর সঙ্গে বিবাদ ঘুচল? রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করবে শিবসেনা
ঠিক এই পরিস্থিতিতেই বিতর্কের জন্ম দিলেন কংগ্রেস নেতা অজয় কুমার। তিনি বলেছেন, 'এটা কোনও ব্যক্তিগত বা দুই রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর লড়াইয়ের ব্যাপার না। যশবন্ত সিনহা অত্যন্ত ভালো প্রার্থী। দ্রৌপদী মুর্মুও ভদ্র মানুষ। তবে তিনি দেশের নেতিবাচক দর্শনের প্রতিনিধিত্ব করছেন। আমরা এই কারণেই দ্রৌপদী মুর্মুকে আদিবাসী সমাজের প্রতিনিধি ভাবতে চাই না। এনডিএর রামনাথ কোবিন্দের সময় হাথরস কাণ্ড হয়েছে। কিন্তু, তিনি কি একবারও সেনিয়ে মুখ খুলেছেন। দেশের তপশিলি জাতিদের প্রতি হামলার ঘটনা বাড়ছে।'
প্রসঙ্গত, রামনাথ কোবিন্দ নিজে দলিত সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। সেই হিসেবেই গত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে তাঁকে তুলে ধরেছিল বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ। কিন্তু, দেশে তাঁর জমানায় দলিতদের ওপর একের পর এক হামলা হলেও কোবিন্দকে মুখ খুলতে দেখা যায়নি। সেই অভিযোগই তুলে ধরেছেন অজয় কুমার। তবে, দ্রৌপদী ইস্যুতে এত সহজে কংগ্রেসকে চাপ বাড়াতে দিতে নারাজ বিজেপি। তারা পালটা কংগ্রেসের সমালোচনাকে আদিবাসীদের প্রতি বঞ্চনার চেষ্টা, মহিলার প্রতি বঞ্চনার চেষ্টা হিসেবে তুলে ধরতে চেষ্টা চালাচ্ছে।
Read full story in English