মসৃণ হল কোরবেভ্যাক্স ভ্যাকসিনের পথ। ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের ওপর কোরবেভ্যাক্স প্রয়োগে সোমবার ছাড়পত্র দিল ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া বা ডিসিজিআই। বর্তমানে কেবল ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের দেওয়া হচ্ছে। শীঘ্রই আরও কমবয়সি, ১২ ঊর্ধ্বদের ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।
তারপরই শুরু হবে ১২ ঊর্ধ্বদের কোরবেভ্যাক্স দেওয়া। করোনায় প্রথম দেশীয় রিসেপটর বাইন্ডিং ডোমেইন প্রোটিনের সাব ইউনিট ভ্যাকসিন কোরবেভ্যাক্স। গত ডিসেম্বরেই বড়দের ব্যবহারের জন্য এই ভ্যাকসিন ছাড়পত্র পেয়েছিল। তবে, বুস্টার ডোজ হিসেবে এই ভ্যাকসিনের ব্যবহার নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। ভ্যাকসিনের চিরাচরিত রীতি মেনে তৈরি হয়েছে কোরবেভ্যাক্স।
গোটা ভাইরাসকে ব্যবহারের বদলে এই ভ্যাকসিন নিজেদের অংশবিশেষের মাধ্যমে গ্রহীতার রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এজন্য স্পাইক প্রোটিনের মতো অংশকে ব্যবহার করে কোরবেভ্যাক্স। মানব শরীর স্পাইক প্রোটিন চিহ্নিত করতে পারলে, শ্বেতকণিকার মতো অ্যান্টিবডির জন্ম দেয়। যা সংক্রমণ রুখতে সহায়তা করে থাকে।
বায়োলজিক্যাল ই লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মহিমা ডাটলা এই প্রসঙ্গে বলেন, 'আমি উল্লেখযোগ্য উন্নতির জন্য খুশি হয়েছি। এর ফলে এই ভ্যাকসিন দেশের ১২ ঊর্ধ্বদের কাছে পৌঁছে যেতে পারবে। আমি বিশ্বাস করি, ডিসিজিআইয়ের স্বীকৃতির ফলে বিশ্বে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই সহজ হবে। একবার ভ্যাকসিনের ডোজ সম্পূর্ণ হলে শিশুরাও তাদের কার্যকলাপ চালিয়ে যেতে পারবে। স্কুলে যেতে পারবে। খেলাধূলা করতে পারবে।'
আরও পড়ুন- যুদ্ধের পথে হাঁটবেন কি না, সেই ব্যাপারে মন্ত্রীদের মতামত নিলেন প্রেসিডেন্ট
গত সেপ্টেম্বরে বায়োলজিক্যাল ই সংস্থা কোরবেভ্যাক্স ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ছাড়পত্র পেয়েছিল। ৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের ওপর ওই পরীক্ষা চালিয়েছিল এই ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা। অক্টোবরে ফলাফলের ভিত্তিতে সংস্থাটি দাবি করে, তাদের ভ্যাকসিন যথেষ্ট কার্যকরী। শুধু তাই নয়, এই ভ্যাকসিন নিরাপদ বলেও দাবি করে সংস্থাটি। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার বিপুল পরিমাণ কোরবেভ্যাক্স ভ্যাকসিনের ডোজ প্রস্তুতকারক সংস্থার কাছে অর্ডার করেছে। এজন্য কয়েকশো কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে কেন্দ্রের।
Read story in English