বাজেট অধিবেশনের শুরু থেকেই সংসদে বিরোধীদের লাগাতার তোপের মুখে পড়েছে মোদী সরকার। বুধবারই জাতীয় নিরাপত্তা থেকে বিদেশনীতি, নানা ইস্যুতে কেন্দ্রকে তুলোধোনা করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি। বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের দেখানো সেই পথে হাঁটল তৃণমূলও। দলের সাংসদ মহুয়া মৈত্র কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আনলেন ইতিহাস বদলানোর চেষ্টার গুরুতর অভিযোগ। মোদী সরকারের উদ্দেশ্যে মহুয়া বলেন, 'তারা বর্তমানকে অবিশ্বাস করে। ভবিষ্যৎকে ভয় পায়।' আর সেই কারণেই ইতিহাস বদলের এই ব্যর্থ চেষ্টা বলে তৃণমূল সাংসদের অভিযোগ।
কেন্দ্রকে উদ্দেশ্য করে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ বলেন, 'আপনারা এমন এক ভবিষ্যতকে ভয় পাচ্ছেন যে নিজেকে নিয়ে স্বচ্ছন্দ, দ্বান্দ্বিক বাস্তবতাকে নিয়ে স্বচ্ছন্দ। আপনারা শুধু আমাদের ভোট নিয়ে সন্তুষ্ট না। আপনারা আমাদের মগজে ঢুকতে চান। আমাদের ঘরে ঢুকতে চান। আমাদের বলতে চান, কী খেতে হবে, কী পরতে হবে, কাকে ভালবাসতে হবে। কিন্তু আপনাদের ভয়, ভবিষ্যতকে একলা সাগরে জলাঞ্জলি দিতে পারবেন না।'
লোকসভা যখন মহুয়া মৈত্রর এই সব অভিযোগের তিরে বিদ্ধ হচ্ছে, সেই সময় রাজ্যসভার কর্মকাণ্ড কিন্তু চলেছে অত্যন্ত মসৃণভাবে। বহুদিন পর এমন মসৃণভাবে রাজ্যসভা চলতে দেখে খুশি প্রকাশ করেন চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, 'আশা করি এমন ধারাই বজায় থাকবে।' তবে রাজ্যসভার এই মসৃণগতি লোকসভায় ছিল না। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে লোকসভার সচিবের কাছে রাহুল গান্ধির বিরুদ্ধে স্বাধীকার ভঙ্গের নোটিস আনেন। দুবের অভিযোগ, রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ সূচক বিতর্কে অংশ নিয়ে রাহুল গান্ধি সাংসদদের প্ররোচিত করেছেন।
আরও পড়ুন ইন্ডিয়া গেটে ‘উধাও’ নেতাজির হলোগ্রাম মূর্তি, প্রতিবাদে ধর্নায় তৃণমূল সাংসদরা
বুধবারই তাঁর ভাষণে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিদেশনীতির ব্যর্থতার গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন। রাহুলের অভিযোগ ছিল, সরকারের বিদেশনীতির ব্যর্থতার জন্যই দেশ দুর্বল হয়েছে এবং বিরাট ঝুঁকির মধ্যে পড়ে গিয়েছে। পাশাপাশি রাহুল অভিযোগ করেছেন, পাকিস্তান এবং চিনকে কাছাকাছি এনে দিয়েছে মোদী সরকারের বিদেশনীতির ব্যর্থতাই। কেন্দ্রীয় সরকারের এই ব্যর্থতাকে দেশবাসীর বিরুদ্ধে হওয়া 'বৃহত্তম অপরাধ' বলেও অভিযোগ করেছিলেন রাহুল।