কর্ণাটকের কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমারকে আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগে তলব করল দিল্লির আদালত। তাঁর সঙ্গে আরও কয়েকজনকে তলব করা হয়েছে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আর্থিক নয়ছয়ের এক মামলায় শিবকুমারের নাম চার্জশিটে রেখেছে। ১ জুলাইয়ের আগে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শিবকুমারকে।
বছর তিনেক আগে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে শিবকুমারকে গ্রেফতারও করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই সময় কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি শিবকুমার বলেছিলেন, এটা তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপির ষড়যন্ত্র। বিজেপি কেন্দ্রীয় সরকারের আছে। তাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে তাঁকে হেনস্তা করা হচ্ছে। গোটাটা রাজনৈতিক চক্রান্ত বলেও তিনি অভিযোগ করেছিলেন।
এই প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার শিবকুমার বলেন, 'আমি শুনেছি যে ওরা একটা চার্জশিট পেশ করেছে। সম্ভবত দিল্লির কোনও আদালতে চার্জশিটটা পেশ করা হয়েছে। আমি এখনও যদিও চার্জশিটের কোনও কপি পাইনি। সেটা দেওয়া হবে। সাধারণত, গ্রেফতারের ৬০ দিনের মাথায় চার্জশিট দিতে হয়। এরা গ্রেফতারের আগেই চার্জশিট দিয়ে দিচ্ছে।' ২০১৭ এবং ১৮ সালে আয়কর দফতর শিবকুমারের বাড়িতে হানা দিয়েছিল। আয়কর দফতরের সেই তদন্তের ভিত্তিতেই ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে শিবকুমারকে গ্রেফতার করেছিল ইডি।
আরও পড়ুন- চোখের জল আর পরিবারের হাহাকারের মধ্যেই মুসেওয়ালার অন্ত্যেষ্টি, দেহে উদ্ধার ২৪টি বুলেট
বর্তমানে কর্ণাটকে রাজ্যসভা নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ব্যস্ত। জুন মাসেই কর্নাটকে চারটি আসনে রাজ্যসভা নির্বাচন। তার মধ্যে চতুর্থ আসনটি কে দখল করবে, তা নিয়ে চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা। কংগ্রেসের হয়ে মঙ্গলবারই মনোনয়ন পেশ করেছেন জয়রাম রমেশ। তাঁর মনোনয়ন পেশের সময় সঙ্গে ছিলেন ডিকে শিবকুমারও। ২০২৩ সালে কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চলেছেন শিবকুমার। এই পরিস্থিতিতেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার চার্জশিটের ভিত্তিতে আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগে শিবকুমারকে তলব করল দিল্লির আদালত।
কংগ্রেস কর্ণাটকে ক্ষমতায় থাকাকালীন শিবকুমার ছিলেন শক্তি মন্ত্রী। তাঁর ৭০টি জমি-বাড়ি আছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির অভিযোগেই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছিল আয়কর দফতর। ২০১৭ সালে ২ এবং ৫ আগস্ট শিবকুমারের ঠিকানাগুলোয় তল্লাশি চালান আয়কর দফতরের আধিকারিকরা।
Read full story in English