রাজধানী দিল্লিতে করোনা সংক্রমণ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মৃত্যুও। গত তিনমাসের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর সংখ্যা রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত, ৮ জনের মধ্যে ৭ জনের বয়স ষাটের বেশি ছিল এবং তাঁদের মধ্যে তিন জন আবার কোভিড টিকার দুটি ডোজ নিয়েছিলেন। এই নিয়ে রীতিমত উদ্বেগ ধরা পড়েছে স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিকের গলায়।
তিনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, “গত ২৪ ঘন্টায় মারা যাওয়া আটজনের মধ্যে তিনজনই কোভিড ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ পেয়েছিলেন। তাঁদের সকলের কিছু কোমর্বিডিটি ছিল, মৃতদের মধ্যে দুজনের বয়স ৭৫এর বেশি একজনের বয়স ৫৯। তিনি অনেকদিন থেকে জটিল অসুখে ভুগছিলেন। বাকী সকলের বয়স ৬০ থেকে ৭৫’র মধ্যে। এদিকে মৃত্যুর এই খতিয়ান রীতিমত কপালে ভাঁজ ফেলেছে চিকিৎসক মহলে। উঠেছে টিকার কার্যকারিতা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন। গত বুধবার দিল্লিতে একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, ১০,৬৬৫ জন। যা আগের দিনের প্রায় দ্বিগুণ। পজিটিভিটি রেট ১১.৮৮ শতাংশ।
এদিকে করোনার তৃতীয় ঢেউ দেশে আছড়ে পড়তেই, দিল্লি সরকারের তরফে ৯ টি হাসপাতালে ১০০০ টি শয্যা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছে। এবিষয়ে স্বাস্থ্য দফতরের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, ওমিক্রন পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে দিল্লির ৯ টি হাসপাতালকে দ্রুত শয্যা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দ্বারকার ইন্দিরা গান্ধী হাসপাতালে ১৫০০টি কোভিড শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর পরেই রয়েছে, লোক নায়ক এবং জিটিবি হাসপাতাল। সেখানে শয্যার সংখ্যা ৭৫০।
তথ্য অনুযায়ী, দিল্লিতে সেপ্টেম্বরে পাঁচজন, অক্টোবরে চারজন, নভেম্বরে সাতজন এবং ডিসেম্বরে নয়জন মারা গেছেন। শুধুমাত্র জানুয়ারি মাসের প্রথম চার দিনে ১৩ জনের মৃত্যু কপালে ভাঁজ ফেলেছে স্বাস্থ্য দফতরের। স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে কোভিডে আক্রান্ত সকলকে নিয়মিত অক্সিজেন লেভেল পরীক্ষার কথা বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, “শেষবার অনেকে রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন যখন তাঁর অক্সিজেন স্যাচুরেশন মাত্রা ছিল ৯০ অনেক ক্ষেত্রে ৮০’র নীচে। সেক্ষেত্রে অনেকসময় চিকিৎসার সময়টুকু পাওয়া যায়না। সেই সঙ্গে আমরা সকলকে অনুরোধ করছি অক্সিজেন স্যাচুরেশন মাত্রা ৯৩-এর নীচে নামলে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি হোন” ।