Advertisment

হাসিমুখে বললে অপরাধ নয়, ঘৃণাসূচক বক্তব্য মামলায় পর্যবেক্ষণ আদালতের

আক্রমণাত্মকভাবে কিছু বলা হলে তবেই সেখানে অপরাধ থাকতে পারে। পর্যবেক্ষণ বিচারপতি চন্দ্রধারী সিংয়ের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Anurag Thakur and Prarvesh Verma

অনুরাগ ঠাকুর ও পরবেশ ভার্মা। (বাঁ দিক থেকে)

ঘৃণাসূচক বক্তব্য মামলায় এক ঐতিহাসিক পর্যবেক্ষণ তুলে ধরল দিল্লি হাইকোর্ট। বিচারপতি চন্দ্রধারী সিং জানিয়েছেন, যদি কোনও বক্তব্য হাসিমুখে বলা হয়, তবে সেটা অপরাধ নয়। আক্রমণাত্মকভাবে কিছু বলা হলে তবেই সেখানে অপরাধ থাকতে পারে। উত্তর-পূর্ব দিল্লি দাঙ্গা মামলায় বক্তব্যের মাধ্যমে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর ও সাংসদ পরবেশ ভার্মার বিরুদ্ধে। এনিয়ে অনুরাগ ও পরবেশের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সিপিএম নেতা বৃন্দা কারাত ও কেএম তিওয়ারি। নিম্ন আদালত এই মামলা নিতে রাজি হয়নি। তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দুই সিপিএম নেতা। কিন্তু, উচ্চ আদালতও তার পর্যবেক্ষণে এই দুই সিপিএম নেতাকে নিরাশই করল।

Advertisment

আদালত প্রশ্ন তুলেছে, 'তাঁরা কি ঘটনার সময় নির্বাচনী বক্তৃতা দিচ্ছিলেন? সেটা কি কোনও নির্বাচনী বক্তব্য ছিল, না-সাধারণ সময়ের বক্তব্য ছিল? যদি আপনি সাধারণ ভাবে কোনও কিছু বলেন, তখন সেটা উসকানি দিতে পারে। নির্বাচনী বক্তব্যে রাজনীতিবিদরা একে অপরকে হাজারো কথা বলেন। এটাও ঠিক না। কিন্তু, আমাকে কাজের অপরাধ দেখতে হবে।' নির্বাচনের সময় কোনও উদ্দেশ্য ছাড়াই একটা পরিবেশ তৈরির জন্য রাজনীতিবিদরা হাজাররকম কথা বলেন। একথা মনে করিয়ে দিয়ে বিচারপতি বলেন, 'যদি আপনি হাসিমুখে কিছু বলেন, সেটা অপরাধ নয়। যদি আক্রমণাত্মক ভাবে কিছু বলেন, তবে অপরাধ। এটা আপনাকে পরীক্ষা করতে হবে এবং ভারসাম্য রাখতে হবে। নতুবা আমার মনে হয়, নির্বাচনের সময় সব রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে হাজারের বেশি এফআইআর দায়ের হবে।'

বিচারপতি বলেন, ' যেহেতু আমরা সকলেই গণতান্ত্রিক, আপনারও কথা বলার অধিকার আছে আর এই সব করার অধিকার আছে। কখন এবং কোন সময় এই বক্তব্য রাখা হয়েছিল এবং কী উদ্দেশ্য ছিল? কেবলমাত্র লক্ষ্য ছিল নির্বাচনে জেতা নাকি জনগণকে উত্তেজিত করে অপরাধ করানো? দুটো আলাদা ব্যাপার। এটা বোঝার পর আবেদন করতে হবে।' পরবেশ ভার্মার যে বক্তব্য নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল, তা হল- 'ইয়ে লোগ আপকো ঘরোমে ঘুসেঙ্গে, আপকি বেটিয়োঁ কো উঠায়েঙ্গে অউর উনকো রেপ করেঙ্গে।' আদালত তার প্রেক্ষিতে জানতে চায়, 'এখানে ইয়ে লোগ বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে? আবেদনকারীরা কীভাবে সিদ্ধান্তে আসছেন যে এটা কোনও নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কেই বলা হয়েছে?' আবেদনকারীদের আইনজীবী অদিত পূজারি পালটা জানান, এটা শাহিনবাগ আন্দোলনের প্রসঙ্গে বলা হয়েছিল। আদালত পালটা প্রশ্ন করে, 'এই প্রতিবাদে শুধু একটা সম্প্রদায় অংশ নিয়েছিল, তার প্রমাণ কোথায়?'

Read story in English

Anurag Thakur Delhi High Court Brinda Karata
Advertisment