জোর করে ধর্মান্তরণ চলছে বলে শুধু আশঙ্কা প্রকাশ করলে হবে না। যদি এমনটা হয়ে থাকে, তবে তার প্রমাণও দিতে হবে। বিজেপি নেতাকে স্পষ্ট জানিয়ে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। বিজেপি নেতা অশ্বিনীকুমার উপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, দিল্লিতে বেআইনি ধর্মান্তরণ চলছে। জোর করে ধর্মান্তরণ হচ্ছে। আর, দিল্লি সেই ধর্মান্তরণ করার নিরাপদ ঘাঁটি হয়ে উঠেছে। কারণ, দিল্লিতে জোর করে ধর্মান্তরণ আটকানোর কোনও ব্যবস্থা নেই।
তার প্রেক্ষিতেই আদালত ওই বিজেপি নেতাকে স্পষ্ট জানিয়েছে, এই সব গালগল্প করলে হবে না। আশঙ্কার নামে ভুরিভুরি অভিযোগ জানিয়ে লাভ নেই। এসব নিয়ে আদৌ যদি কোনও অভিযোগ থাকে তো প্রমাণ দিতে হবে। উপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, বিদেশ থেকে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন টাকা পাচ্ছে। তারা ক্যানসারের মত রোগের ক্ষেত্রে পর্যন্ত চিকিৎসার খরচ বহনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্মান্তরণ ঘটাচ্ছে।
আর, এই সব ক্ষেত্রে সঠিক আইন না-থাকায় ২৯৫এ ধারার মত কমজোরি আইন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ হচ্ছে। তার প্রেক্ষিতে দিল্লি হাইকোর্টে বিচারপতি সঞ্জীব সচদেব ও বিচারপতি তুষার রাও গেদেলার বেঞ্চ বলে, 'এই সব অভিযোগের প্রমাণ কোথায়? এগুলো তো খবরের কাগজের খবর। সেগুলো নিয়ে কীভাবে অভিযোগের বিবেচনা করা হবে? আপনি এই অভিযোগের বিচারের জন্য খবরের কাগজের প্রতিবেদনগুলো জমা দিতে পারবেন না।'
আরও পড়ুন- সংসদে অচলাবস্থা আরও গভীর, সাসপেন্ড লোকসভার চার কংগ্রেস সাংসদ
বিচারপতিরা জানান, আদালত এই ব্যাপারে সরকারকে বলতেই পারে। কিন্তু, সেজন্য প্রথমে মামলা করতে হবে। আদালত পালটা ওই বিজেপি নেতার কাছে জানতে চায়, 'আমাদের প্রথমে বলুন, কেউ কি এনিয়ে কোনও অভিযোগ করেছে? বলেছে যে তিনি অভিযোগ করার পরও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি? শুধু অভিযোগ করলে হবে না। আপনাকে এর প্রমাণ দিতে হবে।'
আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, ওই বিজেপি নেতা যা বলছে, তার কোনও অভিযোগই প্রমাণিত নয়। ধর্মান্তরণের অভিযোগ জানানোর পরও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে মামলাও দায়ের হয়নি। আদালতের কাছে আগে মামলা হোক। তথ্য, পরিসংখ্যা আদালতকে দেওয়া হোক। তার পর তো বিচারের প্রশ্ন।
Read full story in English