দিল্লির উত্তেজনাপ্রবণ জাহাঙ্গিরপুরীতে ঢুকতে দেওয়া হল না তৃণমূলের সংসদীয় প্রতিনিধি দলকে। পুলিশের বিরুদ্ধে জোর করে তাঁদের সেখানে প্রবেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সদস্যাদের। অবশ্য এরই মধ্যে তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম ঘটাস্থলের খুব কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পেরেছিল বলে দাবি করেছেন সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদার। টিমের সদস্যায়েদর সঙ্গে জাহাঙ্গিরপুরীর বেশ কয়েকজনের কথা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
হনুমান জয়ন্তীতে জাহাঙ্গিরপুরীর মসজিদকে কেন্দ্র করে হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। যা থেকে উত্তাপ ছড়ায়। ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্ত আনসাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আনসার বাংলার বাসিন্দা বলেও জানানো হয়েছে। তার মধ্যেই, জাহাঙ্গিরপুরীতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠায় তৃণমূল। শুক্রবার দুপুরেই দিল্লি পৌঁছায় তৃণমূলের ওই টিমের পাঁচ সদস্য কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সাজদা আহমেদ, অর্পিতা ঘোষ, অপরূপা পোদ্দার ও শতাব্দী রায়। প্রতিনিধিদলের চার জন সাংসদ এবং একজন প্রাক্তন সাংসদ।
সাসংদ কাকলী ঘোষ দস্তিদারের কথায়, 'জাহাঙ্গিরপুরীতে পৌঁছেই দেখি গোটা এলাকা ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলেছে পুলিশ। আমরা যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দিয়েছে। এরপর স্থানীয় এক মহিলা ও বাচ্চার সাহায্যে যে মসজিদকে সামনে মূল হিংসার ঘটনাটি ঘটেছিল তার খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিলাম। বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছি, নোট নিয়েছি। নেত্রীকে সব জানাবো। তবে এরপরই পুলিশ জানতে পেরে যায় ও আমাদেরকে ফিরে আসতে বাধ্য করে। মসজিদ চত্ত্বরের দিকে যাওয়ার রাস্তার ব্যারিকেড পুলিশকে খুলতে বললেও খোলেননি।'
কাকলীদেবীর অভিযোগ, মসজিদে যাওয়ার রাস্তা অন্য দিকে বলে পুলিশ তাঁদের জানিয়েছিল। সেখান দিয়ে বেরোতেই দেখা যায় সেটা মসজিত থেকে অনেকটা দূরে। অর্থাৎ তাঁদের পুলিশ বিভ্রান্ত করেছে বলে দাবি তৃণমূল সাংসদের।
টিমের সদস্য প্রাক্তন সাংসদ অপ্রিতা ঘোষ বলেছেন, 'পুলিশ এদিন মসজিদ চত্তবর থেকে ফিরে আসতে বাদ্য করেছে আমাদের। মানুষকে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে রাখা হয়েছে।'
তৃণমূলের প্রতিনিধিদল কে এ দিন আটকানো প্রসঙ্গে লোকসভায় দলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেছেন, 'পুলিশ লুকোচুরি খেলছে কেন? মহিলা প্রতিনিধি দলকে তো বিভ্রান্ত করার প্রয়োজন ছিল না। সাংসদরা গিয়ে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলবেন। এটা করলে কী অসুবিধা হল? গণতন্ত্রে বিরোধীদের এইটুকুনি পরিশর দেওয়া যেতেই পারে।'
জাহাঙ্গিরপুরীতে এ দিন পুলিশের সঙ্গে বেশ কয়েকবার বচসায় জড়িয়ে পড়েন তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যারা। পাশাপাশি, বাম ও সমাজবাদী পার্টির প্রতিনিধলকেও এ দিন জাহাঙ্গিনপুরীর মূল ঘটনাস্থলে যাওয়া থেকে বিরত করেছে পুলিশ।