দেশে করোনা পরিস্থিতি এখন কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো একে একে খুলছে। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি খুলতে চলেছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ও। বুধবার এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ দেখান অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের ছাত্ররা। তাঁরা ফের বিশ্ববিদ্যালয় চালু করার দাবি জানান। এই পরিস্থিতিতে বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের সামনে উপস্থিত হয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ফের বিশ্ববিদ্যালয় চালু করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টর রজনি আব্বি।
বুধবার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা সংসদের বৈঠক হয়। তারই মধ্যে রেজিস্ট্রার, প্রোক্টর এবং স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার ডিন বিক্ষোভস্থলে আসেন। আর্টস ফ্যাকাল্টির বাইরে ওই বিক্ষোভস্থলে তাঁরা ফের বিশ্ববিদ্যালয় চালু করার কথা ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এই ঘোষণার দিন তিনেক পর তাঁরা এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু করার কথা বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানাবেন। এর আগে মঙ্গলবার রাত থেকেই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের ৯ এবিভিপি নেতা অনশনে বসেন। তাঁরা জানিয়ে দেন, বিশ্ববিদ্যালয় ফের চালু করা না-হলে, তাঁরা অনশন প্রত্যাহার করবেন না।
শুধু এবিভিপির পড়ুয়ারাই নন। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম ছাত্র সংগঠন বামপন্থী এসএফআই এবং আইসাও এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে সরব হয়েছে। তাঁরা এবিভিপির নেতাদের বিক্ষোভস্থলের কিছুটা দূরে আলাদাভাবে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই ব্যারিকেড তৈরি করে ফের এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু করার দাবি জানান। এভাবে পড়ুয়ারা আন্দোলনের পথে নামায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি সামলাতে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন- বেকারত্বের জ্বালা আর ঋণে জর্জরিত হয়ে ২৫ হাজার জনের আত্মহত্যা
দেশে করোনা পরিস্থিতি এখন আগের চেয়ে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। এই অবস্থায় বিভিন্ন রাজ্যে খুলে গিয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। পশ্চিমবঙ্গের মতো কয়েকটি রাজ্য আবার সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলছে। তবে, ইতিমধ্যেই কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়স্তর পর্যন্ত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেশিরভাগ জায়গাতেই খুলে গিয়েছে। কারণ, কলেজস্তরের বেশিরভাগ পড়ুয়াকেই ইতিমধ্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়ে গিয়েছে।
এই ব্যাপারে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে শীঘ্রই ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচি শুরু হবে। ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করোনার ভ্যাকসিন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া হবে। যেসব পড়ুয়া এখনও ভ্যাকসিন নেননি, তাঁরা এখান থেকে ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। তার আগে ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকেই পড়ুয়াদের জন্য খুলে যাবে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। শুরু হয়ে যাবে পঠনপাঠন। তবে, পঠনপাঠন শুরু হলেও করোনাবিধি মান্য করার ওপরও যে নজরদারি সমানতালে চলবে, সেকথাও জানিয়ে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
Read story in English