নোটবাতিলের জেরে কর কাঠামোর উন্নতি ও আদায় বেড়েছে। ডিজিটাল অর্থনীতির জন্য নয়া দিগন্ত খুলে দিয়েছে নোটবাতিল। নোটবন্দির চতুর্থ বর্ষপূর্তিতে রবিবার এই কথাই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। এদিন একাধিক টুইট করে নোটবাতিলের উপপকারিতা সম্পর্কে দাবি করেছেন নির্মলা। যা নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস।
নির্মলা বলেছেন, ভারতকে দুর্নীতিমুক্ত করার প্রতিশ্রুতি মাফিক মোদি সরকার চার বছর আগে নোটবন্দি করেছিল এই দিনে। কালো টাকার বিরুদ্ধে এই সার্জিক্যাল স্ট্রাইক দেশের করকাঠামোর উন্নয়ন এবং ডিজিটার অর্থনীতির দিকে দেশে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রথম পদক্ষেপ ছিল।
সীতারমণ জানিয়েছেন, ৯০০ কোটি হিসাব বহির্ভূত আয় বাজেয়াপ্ত হয়েছে নোটবন্দির প্রথম চার মাসের মধ্যে। গত তিন বছরে ৩,৯৫০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। অপারেশন ক্লিন মানি দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করেছে নোটবন্দির পর। নির্মলার দাবি, নোটবন্দি শুধুমাত্র কর ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা এবং ব্যাপকতাই আনেনি, এটা টাকার মূল্যহ্রাস এবং সার্কুলেশনকেও নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করেছে।
আরও পড়ুন মোদী-নীতীশ জুটিকে টেক্কা দিয়ে বিহারের কুর্সি দখলে এগিয়ে মহাজোট, ইঙ্গিত এগজিট পোলের
অন্যদিকে, কংগ্রেস এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি নয়া অভিযান শুরু করেছে। #SpeakUpAgainstDeMoDisaster অর্থাৎ নোটবন্দি বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার জন্য এই কর্মসূচিতে রাহুল গান্ধীর দাবি, নোটবন্দির প্রধান লক্ষ্যই ছিল বড় ঋণখেলাপিদের ঋণ মকুব করা। কংগ্রেসের আরও দাবি, নোটবন্দির ফলে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি কমে ২.২ শতাংশ এবং কর্মসংস্থান ৩ শতাংশে এসে ঠেকে।
একটি ভিডিওতে রাহুল প্রশ্ন তুলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি ভারতের অর্থনীতিকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। যেখানে ভারতের অর্থনীতি এখন ভাল পারফর্ম করার জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন