গণতন্ত্রের মন্দির বলা হয় সংসদ বা কোনও রাজ্যের বিধানসভা ভবনকে। কিন্তু মঙ্গলবার সেই গণতন্ত্রের মন্দির লজ্জাজনক ঘটনার সাক্ষী হয়ে রইল। কর্ণাটকের বিধান পরিষদে ন্যক্কারজনক ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে রাজনৈতিক মহলে ছিছিকার পড়ে গিয়েছে। এদিন বিধান পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান এসএল ধর্মেগৌড়াকে চেয়ার থেকে টেনে হিঁচড়ে, ধাক্কা মেরে তুলে দিলেন পরিষদের সদস্যরা। তুমুল ধস্তাধস্তি এবং গন্ডগোলের জেরে পরিষদের অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায়।
ঠিক কী হয়েছে এদিন? এদিন বিধান পরিষদের শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতে জনতা দলের সদস্য তথা ডেপুটি চেয়ারম্যান ধর্মেগৌড়া চেয়ারে বসেন। তখন কংগ্রেসের বিধায়করা চেয়ারম্যান কে প্রতাপাচন্দ্র শেট্টিকে এসকর্ট নিয়ে যান। তারপরেই ধর্মেগৌড়াকে চেয়ার থেকে ধাক্কা মেরে তোলার চেষ্টা করেন। শুরু হয় তুমুল হট্টগোল। অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায়। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বিজেপি নেতা এস প্রকাশ দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, "বিধান পরিষদ হল উচ্চকক্ষ। প্রবীণ দায়িত্ববান রাজনীতিবিদদের থেকে যে আচরণ আশা করা যায়, তার ছিঁটেফোটাও নেই এঁদের। কংগ্রেসের চেয়ারম্যান পরিষদে নোংরা রাজনীতি শুরু করেছেন। বিজেপি এবং জনতা দলকে আটকানোর জন্য।"
এদিকে, পরিষদের সদস্য কংগ্রেস নেতা প্রকাশ রাঠোড় বলেছেন ডেপুটি চেয়ারম্যানকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। কারণ তিনি অবৈধভাবে ওই চেয়ারে বসেছিলেন। কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেছেন, "বিজেপি ও জনতা দল জোর করে অন্যায়ভাবে ওনাকে চেয়ারে বসিয়েছিল। যখন পরিষদের অধিবেশন শুরু হয়নি। খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে, বিজেপি অসাংবিধানিক কাজকর্মে লিপ্ত হয়েছে। আমরা ওনাকে প্রথমে চেয়ার ছাড়তে বলেছিলাম, কিন্তু তিনি না সরায় ওনাকে চেয়ার ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন