ভারতীয় সেনার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং। যা নিয়ে হাত শিবিরকে কড়া নিশানা করেছে বিজেপি। সেনার প্রতি কংগ্রেসের মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। এরপরই কংগ্রেস তড়িঘড়ি দিগ্বিজয়ের মন্তব্য 'ব্যক্তিগত' বলে জানিয়েছিল। আর সেই মন্তব্যের ২৪ ঘন্টার মধ্যে মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ানোর চেষ্টায় খোদ রাহুল গান্ধী। অভিজ্ঞ নেতা দিগ্বিজয় সিংয়ের মন্তব্যকে 'হাস্যকর' বলে অভিহিত করেছেন ওয়ানাড়ের সাংসদ। দিগ্বিজয়ের মন্তব্যের সঙ্গে তিনি সহমত নন বলেও দাবি করেছেন।
জম্মুতে রাহুল গান্ধী বলেছেন, 'দিগ্বিজয় সিং যা বলেছেন আমি তার সঙ্গে একমত নই। আমরা আমাদের সেনাবাহিনীকে পুরোপুরি বিশ্বাস করি। সেনাবাহিনী কিছু করলে তার প্রমাণ দেওয়ার দরকার নেই। দিগ্বিজয় সিং যা বলেছেন তার সঙ্গে আমি ব্যক্তিগতভাবে সম্পূর্ণরূপে একমত নই।'
সোমবার দিগ্বিজয়ের সেনার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে মন্তব্যের পরই রে-রে করে উঠেছে বিজেপি। পদ্ম বাহিনীর সাফ দাবি, কংগ্রসের প্রবীণ নেতার মন্তব্যেই প্রমাণ করে যে প্রধানমন্ত্রী মোদীর জন্য দেশের প্রাচীন রাজনৈতিক দলের শুধু 'অন্ধ বিদ্বেষ' রয়েছে, এরা বারে বারে দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে 'অপমান' করছে।
কেন দিগ্বিজয়ের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করল না দল? জবাবে, রাহুল গান্ধী বলেন, 'কংগ্রেস একটি গণতান্ত্রিক দল, স্বৈরাচারী নয়।' রাহুলের কথায়, 'আমরা একটি গণতান্ত্রিক দল। আর আমরা একনায়কতন্ত্রে বিশ্বাসী নই। আমরা জবরদস্তির নীতি নিয়ে দল চালাই না। আমরা দিগ্বিজয়ের ব্যক্তিগত মতামতের কখনই প্রশংসা করব না। কিন্তু দলের মতামত দিগ্বিজয়ের মতের ঊর্ধ্বে। দলের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে কংগ্রেসের মতামত তৈরি হয়। আমি আপনাকে আশ্বস্ত করতে চাই যে দিগ্বিজয় সিংয়ের মতামত দলের নীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। আমরা মনে করি সশস্ত্র বাহিনী যে কাজ করে তার জন্য প্রমাণ দেওয়ার করার দরকার নেই।'
রাহুল গান্ধীর সংযোজন, 'আমাদের দলীয় সংস্কৃতিতে কোনও বিষয়ের উপর আলোচনার ভিত্তিতে পার্টি লাইন নির্ধারিত হয়ে তাকে। যাঁরা চরম দৃষ্টিভঙ্গি তাঁরার মতামত প্রকাশ করে। তাই আমরা সবসময় কথোপকথনে জোর দিয়ে থাকি। বিজেপি ও আরএসএস-এর মধ্যে কোনও আলোচনা নেই। তারা কেবল সিদ্ধান্ত জানায় এবং তার পরে কেউ কথা বলতে পারবে না। এটা বিমুদ্রাকরণের মতো। প্রধানমন্ত্রী একদিন সকালে ওঠেন এবং রাতে জানান যে আমরা নোটবন্দি করতে যাচ্ছি। অথবা জিএসটি-র মতো, আপনি দেশের মেরুদণ্ডকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেয়। কারণ কোনও কথোপকথন নেই। আমরা মনে করি আলাপ-আলোচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কখনও কখনও, আলোচনার সময় বেশ কয়েকজন হাস্যকর জিনিস বলবে। এক্ষেত্রে একজন সিনিয়র নেতা সম্পর্কে এটি বলতে আমি দুঃখিত।'