এনডিএ-র হাতে উন্নয়নের অ্যাজেন্ডা। তামিলনাড়ুতে ভোট প্রচারে গিয়ে এভাবেই সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী। ভোটমুখী পাঁচ রাজ্যের মধ্যে অন্যতম দক্ষিণের তামিলনাড়ু। প্রয়াত জয়ললিতা তথা আম্মার এআইএডিএমকে-র সঙ্গে জোট বেঁধে সে রাজ্যে লড়ছে বিজেপি। তাদের প্রতিপক্ষ ডিএমকে-কংগ্রেস জোট। তাই ধারাপুরমে ভোট প্রচারে এসে বিরোধী জোটকেই আক্রমণ করন নরেন্দ্র মোদী।
তিনি বলেন, ‘এনডিএ-র হাতে যখন উন্নয়নের অ্যাজেন্ডা, কংগ্রেস-ডিএমকে’র অ্যাজেন্ডা তখন পরিবারবাদ। রাজ্যকে ডিএমকে-র নতুন কিছু দেওয়ার নেই।‘ এদিকে, কেরালায় প্রচারে বাম শাসনকে তুলোধনা করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। শাসক এলডিএফকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলেও তোপ দাগেন তিনি। টেনে আনেন সোনা পাচারের প্রসঙ্গে। একই সঙ্গে ক্ষমতকা এলে দক্ষিণী রাজ্যে উন্নয়নের কী কী ডালি সাজাবে গেরুয়া শিবির তারও খতিয়ান তুলে ধরেন নমো।
‘মেট্রো ম্যান’ ই শ্রীধরণের সমর্থনে মঙ্গলবার পালক্কাদে সভা করেন নরেন্দ্র মোদী। সেখানে প্রভু যুশুর সঙ্গে জুডাসের বিশ্বাসঘাতকতার প্রসঙ্গ টানেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘কয়েকটি রুপোর টুকরোর জন্য প্রভু যিশুর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলো জুডাস। কয়েক টুকরো সোনার জন্য একই কায়দায় কেরালাবাসীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বাম জোট।’
শাসক এলডিএফ ও বিরোধী উইডিএফ-কে এক পংক্তিতে বসিয়ে এদিন আত্রমণ শানিয়েছেন মোদী। এই দুই জোট আপাত বিরোধী হলেও তাদের পার্থক্য শুধু নামেই বলে জানান নমো। এই দুই জোটের ‘আঁতাঁত’ কেরালার রাজনীতিতে ‘নিকৃষ্টতম রহস্য’ বলে মন্তব্য করেন মোদী। তাঁর কথায়, ‘কেরালার রাজনীতিতে গত কয়েক দশক ধরে নিকৃষ্টতম রহস্য হল এলডিএফ ও উইডিএফ-র আঁতাঁত। এই আঁতাঁত কী? প্রথমবারের জন্য প্রশ্ন তুলছেন কেরালাবাসী। পাঁচ বছর ধরে হয় বাম জোট, নয়তো কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট কেরালাকে লুট করেছে।’
বকলমে শ্রীধরণই কেরালায় বিজেপির মুক্যমন্ত্রী মুখ। এদিন প্রচারে তাঁর ঢালাও প্রশংসা করেন মোদী। দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করার পিছনে শ্রীধরণের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন তিনি। বলেন, ‘শ্রীধরণকে সবাই সমীহ-সম্মান করেন। উনি কেরালার প্রকৃত সন্তান। ক্ষমতার ঊর্ধ্বে উঠে তিনি উন্নয়নের কথা ভাবেন, তা বাস্তবায়ণের চেষ্টা করেন। তাই কেরালার উন্নতির জন্য এবার শ্রীধরণকে কাজ করার সুযোগ করেদিন।’ এছাড়াও, কেরালার মৎস চাষ, কৃষি ও আয়ুর্বেদ, সামাজিক ন্যায়বিচার, প্রযুক্তি, পর্যটনের উন্নতিরও আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।