মহারাষ্ট্রে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত চরমে। ধর্মীয় উপাসনা স্থলগুলি খোলা নিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে তোপ দাগলেন রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি। সোমবারই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে অবিলম্বে ধর্মীয় স্থানগুলি ভক্তদের দর্শনের জন্য খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন রাজ্যপাল। চিঠিতে তিনি উদ্ধব ঠাকরেকে জিজ্ঞেস করেছেন, আপনি কি ধর্মনিরপেক্ষ হয়ে গেলেন না কি? পাল্টা উত্তরে উদ্ধবের কটাক্ষ, কোশিয়ারির কাছ থেকে হিন্দুত্বর সার্টিফিকেট নেবেন না তিনি।
কোশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে আক্ষেপ জানিয়েছেন, "ধর্মীয় স্থানগুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। হিন্দুত্বের ধ্বজাধারী শিবসেনা। শ্রীরামচন্দ্রের মন্দির নির্মাণের আগে অযোধ্যায় যাওয়ার কথা বলে ঈশ্বরের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়েছিলেন। পান্ধারপুরে ভিট্টল রুক্মিনী মন্দিরে দর্শন করেছিলেন আপনি। কিন্তু আচমকা আপনি কি কোনও স্বপ্নাদেশ পেয়েছেন ধর্মীয় স্থানগুলি বন্ধ রাখার জন্য, নাকি হিন্দুত্ব ছেড়ে ধর্মনিরপেক্ষ হয়ে গেলেন আপনি। এই শব্দবন্ধটিকে তো সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করতেন আপনারা।" রাজ্যপাল চিঠিতে এটাও উল্লেখ করেছেন, দিল্লিতে জুন মাসের ৮ তারিখ থেকে মন্দিরগুলি খুলে দেওয়া হয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য। সেইসব জায়গা থেকে তো করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর কোনও খবর পাওয়া যায়নি। তাহলে মহারাষ্ট্রে মন্দিরগুলি কেন খুলেবে না, প্রশ্ন রাজ্যপালের। তিনি কোভিড প্রোটোকল মেনে সব ধর্মীয় স্থান খুলে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।
আরও পড়ুন আইনের প্রতিবাদ, দশেরায় মোদীর কুশপুতুল দাহ করবেন কৃষকরা
এরপর মঙ্গলবার পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন উদ্ধব। জানিয়েছেন, "হিন্দুত্ব নিয়ে আপনি চিঠিতে যা উল্লেখ করেছেন সেটা একেবারে সঠিক। কিন্তু আমার হিন্দুত্ব নিয়ে আপনার সার্টিফিকেট লাগবে না। কারও কাছ থেকেই আমি সেটা শিখতে চাই না। আমার হিন্দুত্ব সেই শিক্ষা দেয়নি যে, কেউ আমার রাজ্যকে বা রাজ্যের রাজধানীকে পাক অধিকৃত কাশ্মীর বলবে আর আমি তাঁকে হাসিমুখে নিজের বাড়িতে স্বাগত জানাব।" তিনি আরও লিখেছেন, "কেন এমন প্রশ্ন করছেন যে আমি ধর্মনিরেপক্ষ কি না? তার মানে আপনি বলতে চান, মন্দির খুললেই হিন্দুত্ব আর না খুললে ধর্মনিরপেক্ষ? ধর্মনিরপেক্ষতার উল্লেখ রয়েছে দেশের সংবিধানে। সেই সংবিধানের শপথ নিয়ে আপনি রাজ্যপাল মনোনীত হয়েছেন। আপনি কি তাতে সম্মত নন?"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন