ভেদাভেদ রাখতে চাইছেন না এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী। লক্ষ্মীবারে দিল্লি পৌঁছেই জানিয়েছিলেন যে, বিরোধী শিবিরের সকল সাংসদের কাছেই ভোট প্রার্থনা করবেন দ্রৌপদী মুর্মু। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, রাষ্ট্রপতি ভোটে তাঁকে সমর্থনের জন্য ইতিমধ্যেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে দ্রৌপদী মুর্মুর। পাশাপাশি, একই আর্জি জানিয়েছে তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী, এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারেরও।
জানা গিয়েছে, দ্রৌপদী মুর্মুকেই বিরোধী তিন দলের প্রধান শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
শুক্রবারই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য মনোনয়ন পেশ করেছেন দ্রৌপদী মুর্মু। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা সহ পদ্ম শাসিত রাজ্যের অধিকাংশ মুখ্যমন্ত্রীদের উপস্থিতিতে মনোনয়ন পর্ব সম্পন্ন হয়।
সর্বসম্মতিরভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি পদপার্থী বেছে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত সেই প্রস্তাব খারিজ করেছে বিরোধী শিবির। উল্টে, বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ের বার্তা দিতে রাষ্ট্রপতি ভোটে প্রার্তী দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বিরোধীদের প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম উদ্যোগী ভূমিকায় দেখা যায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারও। কংগ্রেস সর্বসম্মত বিরোধী প্রার্থীকে সমর্থনের কথা জানায়।
এরপর একাধিক নাম উঠে এলেও শেষ পর্যন্ত ১৮টি বিরোধী দল যৌথভাবে প্রার্থী করেছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহাকে। আপ ও টিআরএসও বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি প্রার্থীকেই সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছে বলে দাবি করেছিলেন শরদ পাওয়ার।
তবে, এনডিএ জোটে না থাকলেও বিজেডি দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থনের ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে থাকলেও ঝাড়খণ্ডের প্রধান শাসক দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা জানিয়েছে যে, তারা এনডিএ-র প্রার্থীকেই সমর্থন করবে।
অঙ্কের হিসাবে এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি প্রার্থীর জেতা নিশ্চিৎ। তবে, ভেদাভেদ ভুলে বিরোধীদলগুলির কাছে তাঁকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু। আদতে যা পোক্ত গণতান্ত্রিক কাঠামোর উদাহরণ।